নিউ অরলিন্সের একটি জেল থেকে ১০ জন কয়েদির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হলেও, এখনো পাঁচজন পলাতক রয়েছে।
কয়েদিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গেছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরও অনেকে তদন্তের আওতায় রয়েছে।
পলাতক কয়েদিদের খোঁজে লুইজিয়ানার কর্তৃপক্ষ জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। কর্মকর্তাদের মতে, এই জেল থেকে পালানোর ঘটনাটি ছিল সুপরিকল্পিত এবং এর পেছনে ছিল অনেকের সহযোগিতা।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, কিভাবে এই সুপরিকল্পিত পলায়নের ঘটনাটি ঘটানো হয়েছিল, সে সম্পর্কে নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
লুইজিয়ানার অ্যাটর্নি জেনারেল লিজ মুরিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের প্রত্যেককে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। সেই অনুযায়ী, আমরা কাজ করছি।”
তদন্তকারীরা জেল থেকে পাওয়া বিভিন্ন যোগাযোগ, যেমন ফোন রেকর্ড পরীক্ষা করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই ঘটনায় আরও কয়েদি ও কর্মচারী জড়িত থাকতে পারে।
তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত, ১০ জন কয়েদিকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
**কিভাবে ঘটল ঘটনা?**
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গত ১৬ই মে, নিউ অরলিন্স জাস্টিস সেন্টার থেকে ১০ জন কয়েদি পালিয়ে যায়। তাদের পালানোর পেছনে ছিল কিছু কৌশল।
এই ঘটনায় জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
**তদন্তের অগ্রগতি**
এই ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে, নিউ অরলিন্স পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ক্রাইম ল্যাবের পরিচালক জেলের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ফরেনসিক পরীক্ষার কাজ শুরু করেছেন।
লুইজিয়ানার গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রি এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে, জাস্টিস সেন্টারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিরীক্ষণের জন্য একটি অডিট শুরু হয়েছে।
এই ঘটনার পর, জেলের প্রধান শেরিফ সুজান হাটসন সমালোচনার শিকার হয়েছেন। তিনি এই ঘটনার জন্য দায় স্বীকার করেছেন।
বর্তমানে পলাতক কয়েদিদের মধ্যে রয়েছে জার্মেইন ডোনাল্ড, ডেরিক গ্রোভস, আন্তোইন ম্যাসি, লিও টেট এবং লেনটন ভ্যানবুরেন।
গ্রেপ্তার হওয়া কয়েদিরা হলো কেন্ডেল মাইলেস, রবার্ট মুডি, ডিকেনান ডেনিস, গ্যারি প্রাইস এবং কোরি বয়েড।
তথ্যসূত্র: সিএনএন