চীনের শহর শেনজেন, বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল ধনী কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বিশ্বের ধনী শহরগুলোর তালিকা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স এবং নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ যৌথভাবে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। যেখানে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন শহরের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
শেনজেন: প্রযুক্তি খাতের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের এই শহরটি প্রযুক্তি ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে দ্রুত উন্নতি লাভ করেছে। হুয়াওয়ে, টেনসেন্ট, বিওয়াইডি, ডিজেআই এবং জেডটিই-এর মতো বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সদর দপ্তর এই শহরে অবস্থিত।
নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথের গবেষণা প্রধান অ্যান্ড্রু অ্যামোয়েলস জানিয়েছেন, গত ২০ বছরে শেনজেনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বর্তমানে শহরটি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, বৈদ্যুতিক গাড়ি, মোবাইল ফোন, ড্রোন এবং ফাইভ-জি প্রযুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ধনীদের আবাসস্থল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেনজেনে বর্তমানে ২ হাজার ২ জন বিলিয়নেয়ার, ১৫৬ জন ‘সেন্টিমিলিয়নেয়ার’ (১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার বেশি সম্পদের মালিক) এবং ৫০ হাজারের বেশি মিলিয়নেয়ার বাস করেন। শেনজেনের এই অভাবনীয় উন্নতি বিশ্ব অর্থনীতিতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
অন্যান্য দ্রুত বর্ধনশীল শহর।
এই তালিকায় শুধু শেনজেনই নয়, আরো কয়েকটি শহরের নাম উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার স্কটসডেল শহরটি দ্রুত ধনী হওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
গত এক দশকে শহরটিতে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ১২৫ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে স্কটসডেলে ১৪ হাজার ৮০০ জন মিলিয়নেয়ার, ৬৪ জন ‘সেন্টিমিলিয়নেয়ার’ এবং ৫ জন বিলিয়নেয়ার বাস করেন। এছাড়া, ভারতের বেঙ্গালুরু, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট পাম বিচ এবং চীনের হাংঝাউ শহরও এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরেও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরেও উল্লেখযোগ্য হারে ধনী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে মায়ামি, ওয়াশিংটন ডিসি এবং অস্টিন।
বাংলাদেশের জন্য সুযোগ।
শেনজেনের এই অভূতপূর্ব উত্থান উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনী চিন্তা ধারণ করে, বাংলাদেশও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার