**আহমেদাবাদে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২ শতাধিক, শোকের ছায়া**
ভারতে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা একটি এয়ার ইন্ডিয়া বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন, ২০২৪) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহমেদাবাদে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিমানটিতে থাকা ২ শতাধিক যাত্রী ও ক্রু-এর সবাই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে আগুন ধরে যায় এবং কালো ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে যায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং উদ্ধারকাজে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিমানটিতে মোট ২৪৪ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডার নাগরিক ছিলেন।
দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।
বিধ্বস্ত বিমানটি বোয়িং ৭87-8 মডেলের ছিল। বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গেটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিমানটি টেকঅফের কিছুক্ষণ পরেই একটি আবাসিক এলাকায় আছড়ে পড়ে। এতে বিমানের যাত্রীদের পাশাপাশি ওই এলাকার বাসিন্দাদেরও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ব্রিটিশ সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
ব্রিটেনের মন্ত্রী লুসি পাওয়েল বলেছেন, এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং সরকার তাদের পাশে থাকবে।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ একটি জরুরি সহায়তা কেন্দ্র খুলেছে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের তথ্য প্রদানের জন্য একটি বিশেষ দল কাজ করছে।
বিমান দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আবহাওয়া অথবা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ভারতের বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কঞ্জারাপু জানিয়েছেন, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা দ্রুততার সঙ্গে চালানো হচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে কয়েকটি বড় বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০২০ সালে কেরালায় একটি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে ২১ জন নিহত হয়েছিল।
১৯৯৬ সালে হরিয়ানার চারখি দাদরি’তে দুটি বিমানের মধ্যে সংঘর্ষে ৩৪৯ জন নিহত হয়েছিল, যা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।
এই দুর্ঘটনার পর বোয়িং কোম্পানির শেয়ারেও দরপতন হয়েছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস