নতুন প্রজন্মের কাছে ‘কুইয়েট লাক্সারি’ -র ধারণা ফ্যাশন এবং জীবনযাত্রায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই ধারার মূল কথা হলো আড়ম্বরপূর্ণতা থেকে দূরে থেকে রুচিশীলতা এবং গুণগত মানের প্রতি মনোযোগ দেওয়া।
যারা ভ্রমণের মাধ্যমে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চান, তাদের জন্য কিছু বিশেষ হোটেল রয়েছে। যেখানে রাতের জন্য হলেও আপনি উপভোগ করতে পারেন এই ‘কুইয়েট লাক্সারি’।
এই ধরনের আতিথেয়তার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হলো – পরিপাটি স্থান, যেখানে সবকিছুই খুব যত্ন সহকারে নির্বাচন করা হয়েছে, কিন্তু কোনো কিছুই অতিরিক্ত প্রদর্শিত হয় না।
এই প্রসঙ্গে ‘ওয়ান্ডরিস্ট ট্র্যাভেল’-এর প্রতিষ্ঠাতা পামেলা শেইন মারফির মতে, “কাপড়ের বুনন এবং ওজন, যথাযথ আলো এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এই ধরনের হোটেলের বৈশিষ্ট্য।”
একইসঙ্গে, ‘আর্টিজানস অফ লেজার’-এর প্রতিষ্ঠাতা অ্যাশলে আইজ্যাকস গ্যাঞ্জ-এর মতে, “একটি সুন্দর বিন্যাস এবং বিশেষ দৃশ্য, সেইসঙ্গে বাইরের কোলাহলমুক্ত পরিবেশও খুব জরুরি।”
আসুন, এমন কয়েকটি হোটেলের কথা জানা যাক, যেখানে আপনি ‘কুইয়েট লাক্সারি’-র স্বাদ নিতে পারবেন:
এখানে রয়েছে ৫২টি সুসজ্জিত স্যুট, যেগুলি শহরের সবচেয়ে বড় স্যুটগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিটি সুটের মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত বিস্তৃত জানালা দিয়ে শহরের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়াও, এখানে থাই নকশার নান্দনিকতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
অতিথিদের জন্য নবম তলার আউটডোর পুলের ব্যবস্থা তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে ‘আমান স্যুট’-এ রয়েছে ব্যক্তিগত স্পা, যেখানে গরম ও ঠান্ডা জলের পুল এবং একটি সৌনাও বিদ্যমান।
এখানে ৭০টি কক্ষ এবং ৩০টি স্যুট রয়েছে, যেখানে আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে।
প্রতিটি কক্ষের কারুকার্য অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে করা হয়েছে।
এছাড়াও, সিল্কের ওয়াল কাভারিং, ফ্রেটে লিনেন এবং তাজা ফুলের ব্যবহার ঘরগুলিকে আরামদায়ক করে তোলে।
এখানে হালকা সোনালী এবং নীল রঙের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে আরামদায়ক ঘর, যা দর্শকদের মন জয় করে।
প্রতিটি কক্ষে ক্যাসামেন্স এবং পিয়েরে ফ্রের টেক্সটাইল ওয়াল কাভারিং, চামড়ার তৈরি হেডবোর্ড এবং মুরানো কাঁচের বাতি ব্যবহার করা হয়েছে।
স্থানীয় শিল্পীদের তৈরি আসবাবপত্র, কাঁচের বাতি এবং বিশেষ শিল্পকর্ম এই হোটেলের আকর্ষণ।
মাটির রং এবং চামড়া ও কাঠের মতো প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করে এখানকার ৬৮টি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে।
‘এসপেন মাউন্টেন’-এর ঘরগুলি থেকে সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়, এছাড়াও মিশরীয় সুতির চাদর এবং কইউচি অর্গানিক পোশাক আরামের অনুভূতি যোগ করে।
এখানে ১১টি বিশেষ স্যুট রয়েছে, যার মধ্যে ‘গ্র্যান্ড টেরেস স্যুট’-এর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
এছাড়াও, এখানে ২৪৮টি ছোট আকারের কক্ষও রয়েছে, যেখানে শ্যাগ্রিন ল্যাম্প, মার্বেল বাথরুম এবং হিটেড ফ্লোরের মতো সুবিধা রয়েছে।
এখানে ১৪১টি স্যুট এবং ৭টি ভিলা রয়েছে।
এখানকার কাঠের মেঝে, সাদা দেয়াল এবং সিলিং-এর কারুকার্য দর্শকদের মুগ্ধ করে।
এছাড়াও, কাঠের তৈরি বাথটাবগুলি এখানকার অন্যতম আকর্ষণ।
এখানকার প্রতিটি কক্ষে প্রাকৃতিক ইট, কাঠের সিলিং এবং স্থানীয় ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে।
এছাড়াও, প্রতিটি কক্ষে রান্নাঘরের সুবিধা এবং বাথরুমে হিটেড ফ্লোর, টয়লেট, এবং আরামদায়ক বাথটাব রয়েছে।
যদি আপনি এমন একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা চান, যেখানে আড়ম্বরতা নয়, বরং রুচি এবং গুণগত মানের ছোঁয়া থাকবে, তাহলে এই হোটেলগুলো আপনার জন্য আদর্শ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক