যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ, বাড়ছে ধরপাকড়। লস অ্যাঞ্জেলেসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কড়া সমালোচনা করে বিক্ষোভ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের আটকের পাশাপাশি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। স্থানীয় মেয়ররা অভিবাসন বিষয়ক অভিযান বন্ধের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভের মূল কারণ হলো, অভিবাসন কর্মকর্তাদের অভিযানে সহায়তা করতে সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছেন বহু মানুষ।
কর্তৃপক্ষের দাবি, শহরটিতে প্রায় চার লক্ষাধিক মানুষের বসবাস, যাদের একটি অংশ হয় বৈধ কাগজপত্রবিহীন অভিবাসী।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য এই সংকট তৈরি করছে এবং এর মাধ্যমে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তবে, ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি যদি ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের সেখানে না পাঠাতেন, তাহলে লস অ্যাঞ্জেলেস ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়ে যেত।
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়রসহ বিভিন্ন শহরের মেয়ররা অভিবাসন অভিযান বন্ধের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, এটি শ্বেত-শুভ্র আধিপত্যবাদের বহিঃপ্রকাশ।
বিক্ষোভের কারণে এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস ছাড়াও ডালাস, অস্টিন, শিকাগো, ডেনভার ও নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন শহরে অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। নিউইয়র্কে বিক্ষোভের সময় বহু মানুষকে আটক করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার গভর্নরসহ রিপাবলিকান দলের নেতারা এই অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, রাজ্যগুলোর ফেডারেল অভিবাসন আইন থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার কোনো অধিকার নেই।
বিক্ষোভের কারণ হিসেবে জানা যায়, ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে, বিশেষ করে গার্মেন্টস কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের আটক করা হচ্ছে।
আটককৃতদের অনেকে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন এবং তাঁদের যথাযথ বিচার প্রক্রিয়া থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউ som একটি আদালতের কাছে সামরিক বাহিনীর এই কাজে জড়িত হওয়ার উপর জরুরি স্থগিতাদেশ চেয়েছেন। প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপকে গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ হিসেবেও অভিহিত করেছেন তিনি।
এদিকে, গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভ কভার করতে গিয়ে অন্তত ৩৫ জন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস