জিবুতির উপকূলের কাছে নৌকা থেকে নামতে বাধ্য হয়ে আটজন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা বুধবার জানিয়েছে, গত ৫ জুন মানব পাচারকারীদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে তারা এই দুর্ঘটনার শিকার হন।
এখনো পর্যন্ত আরও ২২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, সমুদ্রে ডুবে যাওয়া অভিবাসীরা ১৫০ জনের একটি দলের অংশ ছিলেন। পাচারকারীরা তাদের জিবুতির উপকূলের কাছে একটি নৌবহর থেকে নামতে বাধ্য করে এবং সাঁতরে তীরে উঠতে বলে।
ঘটনার পর আইওএম টহল দল মরুভূমিতে তাঁদের খুঁজে পায় এবং অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য তৈরি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
বর্তমানে, আইওএম এবং জিবুতির কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ অভিবাসীদের উদ্ধারের জন্য যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
আইওএম-এর পূর্ব, হর্ন ও দক্ষিণ আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক সেলেস্তিন ফ্রাঞ্জ বলেন, “সমুদ্রে একটি জীবনহানিও অত্যন্ত দুঃখজনক, যা কখনোই ঘটা উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “মানব পাচারকারীরা মানুষের জীবনের প্রতি কোনো সম্মান দেখায় না, যা অভিবাসন প্রত্যাশীদের কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলতে বাধ্য করে।”
প্রতি বছর, হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়া থেকে ইউরোপ এবং উপসাগরীয় দেশগুলোতে পাড়ি জমাতে চেষ্টা করেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা মানব পাচারকারীদের মাধ্যমে সমুদ্রপথে যাত্রা করেন।
পাচারকারীরা তাঁদের ইউরোপে পৌঁছানোর জন্য ছোট ছোট নৌকায় গাদাগাদি করে তোলে। এই সমুদ্রযাত্রা অত্যন্ত বিপদসংকুল।
সাধারণত, অভিবাসন প্রত্যাশীরা লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে উপসাগরীয় দেশগুলোতে প্রবেশ করে, এরপর ইউরোপের দিকে যাত্রা করে। ইয়েমেন এই অঞ্চলের অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য একটি প্রধান পথ, যেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ কাজের সন্ধানে প্রবেশ করে।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, উন্নত জীবনের আশায় মানুষ কতটা ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত।
তথ্য সূত্র: সিএনএন