ভারতে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। গুজরাটের আহমেদাবাদে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর শোকস্তব্ধ পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের দেহের শনাক্তকরণের জন্য এই প্রক্রিয়াটির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
শুক্রবার, বিমানের ব্ল্যাক বক্স বা ফ্লাইট রেকর্ডার খুঁজে পাওয়ার পর, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিমানটি উড্ডয়নের পরপরই একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর আছড়ে পড়ে, যার ফলে অন্তত ২৯০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন বিমানের যাত্রী, ক্রু সদস্য এবং হোস্টেলের কিছু বাসিন্দা। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে সর্বত্র।
আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে নিহতদের আত্মীয়-স্বজনদের কান্না যেন থামছেই না। স্বজন হারানোর বেদনায় অনেকেই অসহায় হয়ে পড়েছেন।
নিহতদের মধ্যে অনেকের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ১৯০ জনের বেশি আত্মীয়ের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং তা যাচাই-বাছাই করার প্রক্রিয়া চলছে।
দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া একজন ব্রিটিশ নাগরিকের বরাত দিয়ে জানা যায়, তিনি গুরুতর আহত হলেও অলৌকিকভাবে জীবন ফিরে পেয়েছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর তিনি কোনোমতে বিমানের ধ্বংসস্তূপ থেকে বের হতে সক্ষম হন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আহত ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এদিকে, এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড এবং যুক্তরাজ্যের এয়ার অ্যাক্সিডেন্টস ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চ উভয়ই ভারতীয় কর্তৃপক্ষের তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।
এই ঘটনার শোক এখনো কাটেনি, প্রিয়জনদের হারানোর বেদনা নিয়ে অনেকে হাসপাতালের বাইরে অসহায়ভাবে অপেক্ষা করছেন। কর্তৃপক্ষের প্রধান কাজ এখন নিহতদের শনাক্ত করা এবং শোকাহত পরিবারগুলোকে সব ধরনের সহায়তা করা।
তথ্য সূত্র: সিএনএন