যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন বিষয়ক নীতিমালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ক্রমেই বাড়ছে। লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসন কর্মকর্তাদের অভিযানের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভ ধীরে ধীরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবাদকারীরা অভিবাসন আইনের কঠোর প্রয়োগের তীব্র বিরোধিতা করছেন।
বিভিন্ন শহরে ইতোমধ্যে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিক্ষোভ সত্ত্বেও অভিবাসন বিষয়ক অভিযান এবং বিতাড়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
বিক্ষোভ দমনের উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে গার্ড বাহিনীর মোতায়েনকে একটি আদালত আপাতত স্থগিত করেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভের সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার বহন করে তাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর পতাকা হাতেও বিক্ষোভে অংশ নেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম ন্যাশনাল গার্ডের মোতায়েনের বিরুদ্ধে আদালতের জরুরি নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম এক সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করেন।
সেখানে সিনেটর অ্যালেক্স প্যাডিলাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
আগামী শনিবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সামরিক কুচকাওয়াজের সময় আরও ব্যাপক বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অভিবাসন নীতি নিয়ে চলমান এই সংকট ভবিষ্যতে আরও গভীর হতে পারে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস