1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 26, 2025 5:00 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
পিরোজপুরে কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ চিৎমরম আমতলী সড়ক ও কালভার্টের বেহাল অবস্থা  ১০আরই ব্যাটালিয়ন মসজিদের চাল ও অযুখানা নির্মাণে সহায়তা প্রদান  কুকুরটি মৃত ভেবেছিল পরিবার, ৪ বছর পর ফিরে আসায় বাঁধভাঙা আনন্দ! অলিভিয়া নিউটন-জনের অজানা গল্প, আসছে নতুন তথ্যচিত্র! দি ক্যাপরিও আসছেন! বেজোসের বিয়েতে চাঁদের হাট, আলো ঝলমলে ভেনিসে… প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা জো মারিনেলি: অভিনয় জগতে শোকের ছায়া বিয়েতে কলম্যান ডমিঙ্গোর পোশাকে ক্ষেপেছিলেন নিইসি ন্যাশ-বেটস? অবশেষে মুখ খুললেন! ক্ষমা নেই! খইর ছবি পোস্ট করায় ইয়োলান্ডা’র বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া! স্টিফ জবসের মেয়ের ব্যাচেলর পার্টি: ছবিতে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস!

মধ্যযুগীয় লন্ডনের সেই ভয়ংকর খুন: কে ছিলেন সিরসি ল্যানিস্টার?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Monday, June 16, 2025,

মধ্যযুগের লন্ডনে সংঘটিত এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ১৩৩৭ সালে ফাদার জন ফোর্ডের নৃশংস হত্যাকাণ্ডেরহয়েছিল, যা ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, প্রতিশোধ এবং সমাজের উঁচু স্তরের গোপন সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। খবরটি প্রকাশ করেছেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।

ঐতিহাসিকদের মতে, ঘটনাটি নিছক একটি ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ছিল না, বরং ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি নিষ্ঠুর দৃষ্টান্ত ছিল। গবেষণা বলছে, ফোর্ডের ওপর হামলাটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জনবহুল এলাকায় করা হয়, যা সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যে কোনো কিছুই করতে পারে, সেই বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।

এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ অনুসন্ধানে নেমেছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ম্যানুয়েল আইজনার। তাঁর মতে, ফোর্ডের এই পরিণতি একটি সম্পর্কের তিক্ত পরিণতির ফল। ফোর্ডের সঙ্গে প্রভাবশালী এক নারী, এলার সম্পর্ক ছিল।

এলার ভাই ও তার অনুসারীরাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। যদিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে চিহ্নিত করা যায়নি, কারণ প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়।

আলোচিত এলার স্বামী ছিলেন রবার্ট ফিটজপেইন। তিনি ছিলেন প্রভাবশালী একজন জমিদার এবং রাজার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। ঘটনার কয়েক বছর আগে ফোর্ডের সঙ্গে এলার অবৈধ সম্পর্কের কথা শোনা যায়।

শুধু তাই নয়, তাঁদের বিরুদ্ধে গবাদি পশু চুরি ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগও ছিল। এই ঘটনার জেরে ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ, এলার সম্মানহানির জন্য সালিসবারির ক্যাথিড্রালে জনসম্মুখে প্রায়শ্চিত্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

গবেষক আইজনার মনে করেন, এই হত্যাকাণ্ড ছিল ক্ষমতাধর শ্রেণির একটি সতর্কবার্তা। সমাজের ওপর চার্চের প্রভাব বিস্তারের বিরুদ্ধে অভিজাত শ্রেণির প্রতিরোধের একটি অংশ ছিল এটি। তাঁর মতে, “ফোর্ডের হত্যাকাণ্ড ছিল ক্ষমতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।”

এই ঘটনার তদন্তে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জন ফোর্ডের সঙ্গে হাসকাল্ফ নেভিল নামে অন্য এক পাদ্রীর কথা হচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফোর্ডের ওপর আক্রমণ করে।

মধ্যযুগীয় লন্ডনের তৎকালীন সমাজে, বিশেষ করে ওয়েস্টচিপ এলাকায় (বর্তমান চিপসাইড) প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটত। এখানে স্বর্ণকার, চামড়ার কারিগর, এবং বিভিন্ন সরাইখানার আনাগোনা ছিল, যা অপরাধের একটি উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরি করত।

ঐতিহাসিক ভ্যানেসা হার্ডিংয়ের মতে, এই হত্যাকাণ্ড সমাজের একটি বিশেষ শ্রেণির মূল্যবোধ ও আচরণের সঙ্গে জড়িত ছিল। ক্ষমতা ও নৈতিকতার প্রশ্নে সেই সময়ে যে দ্বন্দ্ব ছিল, তারই প্রতিফলন ঘটেছিল এই ঘটনায়।

ফাদার ফোর্ডের হত্যাকাণ্ড মধ্যযুগীয় সমাজের ক্ষমতা কাঠামো, নৈতিকতা এবং প্রতিশোধের এক জটিল চিত্র তুলে ধরে। এই ঘটনা আজও ইতিহাসের পাতায় আলোচনার বিষয়।

তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT