পোপ ফ্রান্সিস, যিনি ফুসফুসের প্রদাহ (নিউমোনিয়া) নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, রাতের বেলা ভেন্টিলেশন মাস্ক পরে ভালোভাবে ঘুমিয়েছেন।
ভ্যাটিকান সিটি থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৮৮ বছর বয়সী পোপ বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন, তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা এখনো উদ্বেগমুক্ত নয়। চিকিৎসকেরা তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছেন।
পোপের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রাতে ভেন্টিলেশন মাস্ক ব্যবহারের পর দিনের বেলায় তিনি নাকের মাধ্যমে অক্সিজেন নিচ্ছেন।
সোমবার তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল, যা তাঁর সুস্থতার পথে একটি বড় বাধা তৈরি করে।
এদিকে, পোপের অসুস্থতার মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ উপাসনার সময়, যা ‘লেন্ট’ নামে পরিচিত।
বুধবার ছিল ‘অ্যাশ ওয়েডনেসডে’ বা ছাই-বুধবার।
এই দিনে খ্রিস্টানরা তাদের কপালে ছাইয়ের চিহ্ন ধারণ করে, যা মানব জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্বের প্রতীক।
এটি ৪০ দিনের লেন্ট বা উপবাসের সূচনা করে, যা ইস্টার সানডেতে শেষ হয়।
ইস্টার সানডে হলো যিশুর পুনরুত্থান দিবস, যা ২০শে এপ্রিল উদযাপিত হবে।
পোপের অনুপস্থিতিতে ভ্যাটিকানে লেন্টের আচার-অনুষ্ঠান পালনের প্রস্তুতি চলছে।
পোপের পরিবর্তে একজন কার্ডিনাল ভ্যাটিকানের অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেবেন।
সাধারণত এই সময়ে পোপ একটি বিশেষ আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
তবে এবার তিনি হাসপাতালে থাকায়, সেই অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দিতে পারছেন না।
পোপের শারীরিক অবস্থার কারণে আসন্ন পবিত্র সপ্তাহে তাঁর ভূমিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
তিনি শারীরিকভাবে তেমন সক্রিয় নন এবং অতিরিক্ত ওজনের কারণে হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন।
ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে তাঁর নিয়মিত ফিজিওথেরাপি চলছিল।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ফুসফুসে তরল জমা হওয়ায় কাশি দিতেও তাঁর সমস্যা হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গুরুতর অসুস্থতা এড়াতে তাঁরা নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন ব্যবহার করছেন।
তবে এখনো পর্যন্ত পোপকে ইনটিউবেশন বা অন্য কোনো আক্রমণাত্মক উপায়ে শ্বাসপ্রশ্বাস দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস