মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির কারণে দেশটির কৃষক এবং ভোক্তাদের উপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের উপর আরোপিত এই শুল্কগুলি বহাল থাকলে কৃষকদের লোকসান হতে পারে, সেই সাথে খাদ্যপণ্যের দামও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বিশ্ব বাণিজ্য এবং অর্থনীতির উপর।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কৃষকদের রক্ষা করার কথা বললেও, এই শুল্ক আরোপের ফলে তাঁদের ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। ভুট্টা, সয়াবিন এবং গমের দাম এরই মধ্যে কমে গেছে, যা কৃষকদের মুনাফা কমিয়ে দেবে। এছাড়া, সারের দামও বাড়তে পারে, কারণ কানাডা থেকে আসা পটাশের উপর নির্ভর করতে হয় তাঁদের।
অন্যদিকে, ভোক্তারাও উদ্বেগে রয়েছেন। মাংস সহ কিছু খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে, যা তাঁদের জীবনযাত্রার উপর চাপ সৃষ্টি করবে। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই শুল্ক নীতি খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারে এবং বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্কগুলোতেও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
আর্টের একজন কৃষি অর্থনীতিবিদ গ্লিন টোনসর বলেছেন, “এই শুল্কের কারণে ভোক্তারা যদি রেস্তোরাঁয় যাওয়া বা অন্যান্য জিনিসপত্র কেনা কমিয়ে দেন, তবে সামগ্রিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”
সরকার কৃষকদের সহায়তা করার পরিকল্পনা করলেও, তা পর্যাপ্ত হবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। অতীতে ট্রাম্প কৃষকদের সহায়তা করেছেন, তবে এবার তিনি সরকারি ব্যয় কমাতে চাইছেন। ফলে কৃষকদের জন্য আর্থিক সহায়তা কতটা পাওয়া যাবে, তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক নীতির বিস্তারিত রূপ এবং কোনো পণ্যের উপর এটি প্রয়োগ করা হবে কিনা, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। এই পরিস্থিতিতে, কৃষকরা তাঁদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং ভোক্তারা খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে চিন্তিত।
মোটকথা, যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্কনীতি দেশটির অর্থনীতি এবং বিশ্ব বাণিজ্য উভয় ক্ষেত্রেই অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এখনো স্পষ্ট না হলেও, এটি যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়, তা বলাই বাহুল্য।
তথ্য সূত্র: এ্যাসোসিয়েটেড প্রেস