মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে সম্প্রতি ২০১৮ সালের নভেম্বরে ইডাহো বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্রায়ান কোহবার্গারের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ডিএনএ প্রমাণের শুনানি হয়েছে।
এই মামলায় ডিএনএ প্রমাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানকারীরা এই মামলার তদন্তে নেমে ছুরি থেকে পাওয়া ডিএনএ-র সূত্র ধরে কোহবার্গারকে শনাক্ত করেন।
মামলার শুনানিতে প্রসিকিউশন জানায়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ছুরির খাপে পাওয়া ডিএনএ-র সঙ্গে কোহবার্গারের ডিএনএ-র ‘মিল’ রয়েছে।
এই ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করতে তারা জেনেটিক বংশতালিকা বিশ্লেষণ বা ‘ইনভেস্টিগেটিভ জেনেটিক জেনিয়োলজি’ (IGG) ব্যবহার করেন, যা ডিএনএ বিশ্লেষণ এবং বংশগত গবেষণাকে একত্রিত করে।
তবে, অভিযুক্ত ব্রায়ান কোহবার্গারের আইনজীবী এই ডিএনএ প্রমাণের বৈধতা, নির্ভুলতা এবং ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন।
আইনজীবীর দাবি, এই ডিএনএ প্রমাণ মামলার রায়কে প্রভাবিত করতে পারে।
তারা ফরেনসিক ডিএনএ বিশেষজ্ঞ অ্যাটর্নি বিক্কা বার্লোকে নিয়োগ করেছেন।
শুনানিতে, আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন কীভাবে তদন্তকারীরা ছুরির খাপ থেকে পাওয়া ডিএনএ ব্যবহার করে কোহবার্গারকে হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করলেন।
এছাড়াও, ভিকটিমদের নখের নিচে পাওয়া ডিএনএ এবং অজানা পুরুষের রক্তের দাগও এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে পারে।
মামলার শুনানিতে জানা যায়, ২১ বছর বয়সী ভিকটিম ম্যাডিসন মোগেনের নখের নিচে পাওয়া ডিএনএ-তে তিনজন ব্যক্তির মিশ্রণ ছিল।
কোহবার্গারের আইনজীবীরা এই ডিএনএ প্রমাণ আদালতে উপস্থাপনের বিরোধিতা করেছেন।
তাদের মতে, এই প্রমাণ jurors-দের বিভ্রান্ত করতে পারে এবং তারা ভুলভাবে বিশ্বাস করতে পারে যে ডিএনএ কোহবার্গারের।
অন্যদিকে, প্রসিকিউটরদের যুক্তি হলো ডিএনএ কীভাবে ঘটনাস্থলে এসেছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন।
আইনজীবীরা বলছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য কারও ডিএনএ-ও সেখানে থাকতে পারে।
তদন্তকারীরা এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
মামলার পরবর্তী শুনানিগুলোতে ডিএনএ প্রমাণের সত্যতা এবং এর বিশ্লেষণ নিয়ে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে।
দোষী সাব্যস্ত হলে কোহবার্গারের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন।