সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সাবরিনা ব্রিয়ার, যিনি ‘দ্যাট ফ্রেন্ড হু’ (That friend who) ভিডিওর জন্য পরিচিত, সম্প্রতি তার ভ্রমণের কিছু ব্যক্তিগত পছন্দের কথা জানিয়েছেন। বিশেষ করে যারা বিমানে ভ্রমণ করেন, তাদের জন্য তার কিছু টিপস রয়েছে।
সাবরিনা জানান, তিনি বিমানবন্দরে অন্যদের থেকে একটু বেশি সময় নিয়ে পৌঁছাতে পছন্দ করেন। তার মতে, তাড়াহুড়ো করে গেটে পৌঁছানোর থেকে অনেক ভালো হলো, হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে সবকিছু করা। তিনি বলেন, “আমি সবসময়ই চাই বিমানবন্দরে একটু আগেভাগে পৌঁছতে। যদি আমি কারো সঙ্গে ভ্রমণ করি, তাহলে তাকেও এটা বুঝতে হবে। আমি কখনই হুট করে এসে হাজির হওয়ার দলে নই।”
যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌতুক অভিনেতা জেটব্লু এবং পেপসির সঙ্গে তার সাম্প্রতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে কথা বলার সময় বিমানবন্দর এবং ভ্রমণের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি জানান, নিউইয়র্কে থাকার কারণে জেটব্লুর প্রতি তার বিশেষ একটা আকর্ষণ রয়েছে। কারণ, জেটব্লু বিমান সংস্থাটিকে ‘নিউইয়র্কের নিজস্ব বিমান সংস্থা’ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। বিমানের ভ্রমণের সময় তিনি বিনামূল্যে ওয়াইফাই-এর সুবিধা উপভোগ করেন এবং সেই ফাঁকে কিছু কাজও সেরে নেন। জেটব্লু বিমানের ‘মিন্ট’ ক্লাসের সুযোগ সুবিধারও প্রশংসা করেন তিনি। এই ক্লাসে ড. ডেনিস গ্রস স্কিনকেয়ারের পণ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়।
বিমানে অন্য সহযাত্রীর সঙ্গে কেমন আচরণ করা উচিত, সে সম্পর্কে সাবরিনার নিজস্ব কিছু মতামত রয়েছে। তিনি বলেন, “বিমানে কারো সঙ্গে দেখা হলে কুশল বিনিময় করাটা ভালো। এতে অপরিচিত পরিবেশে নিজেকে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যে অনুভব করা যায়। তবে খুব বেশি কথা বলার পক্ষপাতী আমি নই।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি চাই তারা যেন তাদের জিনিসপত্র সিটের নিচে রাখে, যাতে আমার কোনো অসুবিধা না হয়।”
তবে বিমানের ভ্রমণের সময় বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হলে, সিট থেকে উঠে অন্য যাত্রীর পাশ কাটিয়ে যেতে সাবরিনা কিছুটা অস্বস্তি বোধ করেন। তার মতে, তিনি এমন একজন যাত্রী যিনি হয়তো অন্যদের বিরক্তির কারণ হন।
কাজের সূত্রে প্রায়ই এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে উড়াল দিতে হয় সাবরিনাকে। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি মেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রমণের জন্য কিছু পরামর্শ দেন। তার মতে, কোনো জায়গায় ঘুরতে গেলে আগে থেকে খুব বেশি পরিকল্পনা না করাই ভালো। গন্তব্যে পৌঁছে সেখানকার পরিবেশ উপভোগ করা উচিত। তিনি বলেন, “মেয়েদের সঙ্গে ভ্রমণে গেলে আমি দেখি, তারা ভ্রমণের সূচি নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকে। আমার মনে হয়, প্রতিটি জায়গার মধ্যে যথেষ্ট ‘রিল্যাক্সিং টাইম’ (relaxing time) রাখা দরকার, যাতে ভ্রমণের আনন্দ উপভোগ করা যায়।” রাতে ভালোভাবে ঘুমানোরও পরামর্শ দেন তিনি।
তথ্যসূত্র: ট্রাভেল + লিজার