টাইগার উডসের চোট, আবারও অনিশ্চিত গল্ফ-ভবিষ্যত
বিশ্বের অন্যতম সেরা গল্ফ খেলোয়াড় টাইগার উডস আবারও গুরুতর আহত হয়েছেন। সম্প্রতি তার বাম পায়ের অ্যাকিলেস টেন্ডন ছিঁড়ে যাওয়ায় অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। এই চোটের কারণে তিনি আসন্ন মাস্টার্স টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভবত ২০২৩ সালের বাকি সময়েও তাকে গল্ফ কোর্টে দেখা যাবে না।
এই দুঃসংবাদ শুধু টাইগার উডসের ভক্তদের জন্য নয়, পুরো গল্ফ বিশ্বের জন্যই হতাশার। কারণ, উডস একাধারে যেমন একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়, তেমনই গল্ফের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে তার জুড়ি নেই। টেলিভিশনের পর্দায় গল্ফ খেলা উপভোগ করার দর্শক বাড়ানো থেকে শুরু করে পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বাড়ানো—সবকিছুতেই তার অবদান অনস্বীকার্য।
বর্তমানে ৫০ বছর ছুঁই ছুঁই টাইগার উডস, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে একের পর এক আঘাতের সঙ্গে লড়াই করছেন। অতীতে তার বাম হাঁটু, কোমর, এমনকি পায়ে পর্যন্ত অস্ত্রোপচার হয়েছে। ২০০৮ সালের ইউএস ওপেন জেতার সময় তার বাঁ পায়ে দুটি ফ্র্যাকচার হয়েছিল। এছাড়া, ডান অ্যাকিলেস টেন্ডন এবং বাঁ অ্যাকিলেস টেন্ডনেও আঘাত পান তিনি।
উডসের ইনজুরির তালিকা বেশ দীর্ঘ। ২০১৬ সালে কোমর ব্যথার কারণে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল। এমনকি, লস অ্যাঞ্জেলেসের বাইরের একটি রাস্তায় গাড়ি দুর্ঘটনার পর তার পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। সেই সময় ডাক্তাররা তার পা কেটে ফেলারও চিন্তা করেছিলেন।
এই কঠিন পরিস্থিতিতেও, উডস বারবার ফিরে এসেছেন। যদিও আগের মতো নিয়মিত খেলতে দেখা যায় না, কিন্তু তিনি যখনই মাঠে নেমেছেন, দর্শকদের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
টাইগার উডসের এমন পরিস্থিতিতে তার সতীর্থ এবং কিংবদন্তি গল্ফাররা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। রোরি ম্যাকিলরয় বলেছেন, “আশা করি তিনি ভালো আছেন। আমরা সম্ভবত এই বছর তাকে খেলতে দেখব না, তবে ২০২৬ সালে হয়তো দেখতেও পারি।” আরেক কিংবদন্তি গলফার জ্যাক নিকলাস উডসের ইনজুরি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “আমি তার জন্য খারাপ অনুভব করি।”
উডস তার শেষ মেজর জেতেন ২০১৯ সালের মাস্টার্স টুর্নামেন্টে। এরপর একই বছর তিনি জাপানে রেকর্ড ৮২তম পিজিএ ট্যুর শিরোপা জেতেন। এরপর থেকে অবশ্য তাকে আর সেরকম সাফল্যের দেখা যায়নি।
এখন প্রশ্ন হলো, আর কত দিন? খেলার জগৎ থেকে বিদায় নেওয়ার আগে কি তিনি আবার কোর্টে ফিরতে পারবেন? যদিও মাস্টার্স এবং পিজিএ চ্যাম্পিয়নশিপে আজীবন খেলার সুযোগ রয়েছে তার, তবে তার স্বাস্থ্যই এখন সবচেয়ে বড় বিবেচ্য বিষয়।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস