পোপ ফ্রান্সিস তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের দ্বাদশ বর্ষ উদযাপন করছেন, যখন তিনি নিউমোনিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভ্যাটিকান সিটি থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
পোপ ফ্রান্সিস, যিনি ক্যাথলিক চার্চের প্রধান, ২০১৩ সালে পোপ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি ছিলেন কার্ডিনাল জোর্জে মারিও বেরগোগলিও। পোপ নির্বাচনের সভায় (কনক্লেভ) তাঁর এই পদে আসাটা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেই সময় পোপ দ্বিতীয় বেনেডিক্ট পদত্যাগ করেছিলেন, যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ৮৮ বছর বয়সী পোপ বর্তমানে ফুসফুসের প্রদাহের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি এখনো নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং রাতে ঘুমের সময় নন-ইনভেসিভ মাস্ক ব্যবহার করছেন। দিনের বেলায় নাকে অক্সিজেনের নল ব্যবহার করতে হচ্ছে তাঁকে।
পোপের সুস্থতা কামনা করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্যাথলিক চার্চে প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। ভ্যাটিকানেও এই উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা সভার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের বার্ষিকীর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অনুষ্ঠিত হবে। তবে, তাঁর বার্ষিকী উপলক্ষে কীভাবে উদযাপন করা হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পোপের স্বাস্থ্য ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে। বুধবার পাওয়া খবর অনুযায়ী, বুকের এক্স-রের রিপোর্টেও উন্নতি দেখা গেছে। অসুস্থতা সত্ত্বেও, তিনি লেন্ট বিষয়ক আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানে দূর থেকে যুক্ত ছিলেন।
পোপ ফ্রান্সিসের হাসপাতালে ভর্তির আজ (শুক্রবার) চার সপ্তাহ পূর্ণ হচ্ছে। তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠা এবং দ্রুত কাজে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন বিশ্বের কোটি কোটি ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস