1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 15, 2025 10:15 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
মানার জাদু: ৪০ বছর পর, স্প্যানিশ গানে আজও মুগ্ধ শ্রোতা! রমজানে সিরিয়ার হৃদয়বিদারক দৃশ্য: ছবিগুলো কাঁদাবে! পোপের সাথে সরাসরি কথা বলতে চান? ভ্যাটিকানের সিস্টারদের অভিজ্ঞতা! যুদ্ধ শেষে ইউক্রেনকে বাঁচাতে স্টারমারের বড় ঘোষণা! চেলটেনহ্যাম উৎসবে বাজির লড়াই: জয় কার, পরাজয় কাদের? বোগলের ঝলক: ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও কুইন্স পার্কের বিপক্ষে পয়েন্ট অর্জন, স্তম্ভিত ফুটবল জগৎ! আতঙ্কে বিশ্ব! ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় কাঁপছে দেশ? ডিইআই ইস্যুতে ট্রাম্পের বড় জয়, আদালত কি রায় দিল? পোল্যান্ডের প্রস্তাব: জেমস বন্ড হতে আইজেনবার্গকে সামরিক প্রশিক্ষণ! সার্বিয়ার রাস্তায় সরকারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের ঢল, প্রতিবাদে ফুঁসছে রাজধানী!

ইয়ুন-এর ইমপিচমেন্ট: রাস্তায় জনতার ঢেউ, উত্তেজনার পারদ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Saturday, March 15, 2025,

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইয়ুন সুক-ইওলের অভিশংসন প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত রায় ঘোষণার প্রাক্কালে দেশটির রাজধানী সিউলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে জনমত। একদিকে যেমন ইয়ুনের অপসারণের দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছেন সাধারণ মানুষ, তেমনি তাঁর সমর্থকরাও জানাচ্ছেন তাঁদের প্রতিক্রিয়া। দেশটির সাংবিধানিক আদালত এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, যা দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপতি ইয়ুন সামরিক আইন জারির চেষ্টা করেছিলেন, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করে। এর ফলস্বরূপ, ইয়ুনের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব আনা হয়। এই ঘটনার জেরে দেশটির অর্থনীতিতেও দেখা দেয় অস্থিরতা। যদি আদালত ইয়ুনের অপসারণের পক্ষে রায় দেয়, তাহলে তাঁকে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে এবং দুই মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

ইয়ুনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগেও একটি ফৌজদারি মামলা চলছে, তবে তিনি সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছেন। সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্তের কারণে সমাজে রক্ষণশীল ও উদারপন্থীদের মধ্যে গভীর বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামরিক বাহিনীর ওপরও।

প্রতি সপ্তাহে রাজধানী সিউলের রাজপথগুলোতে ইয়ুন-বিরোধী ও ইয়ুন-সমর্থকদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্প্রতি, একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৫৮ শতাংশ মানুষ ইয়ুনের অভিশংসনের পক্ষে মত দিয়েছেন, যেখানে ৩৭ শতাংশ এর বিরোধিতা করেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাংবিধানিক আদালতের কাছে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সামরিক আইন জারির পর কেন ইয়ুন শত শত সেনা ও পুলিশ সদস্যকে জাতীয় পরিষদে পাঠিয়েছিলেন। ইয়ুন অবশ্য বলেছেন যে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছিলেন। তবে, সেখানে উপস্থিত কিছু শীর্ষ সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি তাঁদের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিরোধী রাজনীতিকদের গ্রেপ্তার করতে এবং তাঁর ডিক্রির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখতে। এই মামলার রায় দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT