সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে সম্প্রতি সরকার বিরোধী এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।
বিক্ষোভকারীরা দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন এবং একটি রেলওয়ে স্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানাচ্ছেন।
নভেম্বরের ১ তারিখে দেশটির নোভিসাড শহরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল, যা জনসাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া এই ছাত্র আন্দোলন ধীরে ধীরে আরও বৃহত্তর রূপ নেয়।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিসের সরকারের পদত্যাগ এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ গড়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
শনিবারের বিক্ষোভের আগে, শুক্রবার রাতে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে একটি গাড়ির ধাক্কায় তিনজন আহত হয় এবং পুলিশ চালককে আটক করে।
এছাড়া, শনিবার সকালে বেলগ্রেডে এক ছাত্র ও এক শিক্ষককে মারধর করা হয়।
বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু ছিল দেশটির পার্লামেন্ট ভবন।
বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেও, সরকারের পক্ষ থেকে একে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সরকার সমর্থিত গণমাধ্যমগুলো বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে “ক্যু” ঘটানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে।
প্রেসিডেন্ট ভুসিস বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তিনি কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না।
সরকার ইতোমধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি অভিযান শুরু করেছে এবং নোভিসাড দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
যদিও প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুসেভিচসহ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি আদায়ের ব্যাপারে অবিচল রয়েছেন।
তারা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে, তাদের আন্দোলন চলবে।
বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং কোনো ধরনের সহিংসতা এড়িয়ে চলতে বলেছেন।
শনিবারের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল মূলত নোভিসাড ট্র্যাজেডিতে নিহতদের প্রতি সম্মান জানানো এবং সরকারের প্রতি তাদের ক্ষোভ প্রকাশের একটি সম্মিলিত প্রয়াস।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা