যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
শনিবার ইয়েমেনের রাজধানী সানায় চালানো এই হামলায় অন্তত ৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আরও ৯ জন আহত হয়েছে।
ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “তোমাদের সময় ফুরিয়ে এসেছে, এখনই আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। তা না হলে এমন ধ্বংসযজ্ঞ নেমে আসবে যা তোমরা আগে কখনো দেখনি।
তিনি আরও বলেন, “আমি আজ মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ইয়েমেনের হুতি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছি।
ট্রাম্প ইরানকে হুশিয়ার করে বলেন, “ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয়, তবে এর জন্য সম্পূর্ণভাবে তোমাদের দায়ী করা হবে।
হুতি বিদ্রোহীরা বর্তমানে ইয়েমেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে।
তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে।
ইসরায়েল যখন অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাতে বাধা দেয়, তখন হুতিরা এই পদক্ষেপ নেয়।
গত সপ্তাহে হুতি গোষ্ঠী ঘোষণা করে যে, তারা ইসরায়েলি জাহাজের ওপর পুনরায় হামলা শুরু করবে।
তারা জানায়, লোহিত সাগর, আরব সাগর, বাব-আল-মান্দেব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েলের কোনো জাহাজ চলাচল করতে পারবে না।
হুতিদের এই হামলার কারণে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নৌ-রুট, সুয়েজ খাল ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেছে।
ফলে, জাহাজগুলোকে আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।
এর আগে, গত জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর হুতিরা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ করে দিয়েছিল।
কিন্তু ২ মার্চ, ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিলে তারা পুনরায় হামলার হুমকি দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি হুতি আন্দোলনকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা