যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের যেকোনো হামলার জন্য ইরানকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। তিনি সরাসরি ইরানকে হুতিদের মদদদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন।
সোমবার (৯ অক্টোবর) ট্রাম্প তাঁর ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ ওয়েবসাইটে দেওয়া এক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি হুতি বিদ্রোহীদের ‘ভয়ংকর সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ইরান তাদের অস্ত্র, অর্থ ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। এমনকি তাদের সব ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ডের নির্দেশও দিচ্ছে তেহরান।
ট্রাম্পের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন হুতি বিদ্রোহীদের ওপর মার্কিন বিমান হামলা তীব্র হয়েছে। গত কয়েকদিনে চালানো হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছে। একইসঙ্গে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য ট্রাম্প যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা নিয়েও এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি তেহরান।
ট্রাম্প তাঁর পোস্টে আরও বলেন, ‘হুতিদের ছোড়া প্রতিটি গুলিকে ইরানের ছোড়া গুলি হিসেবে গণ্য করা হবে। ইরানকে এর জন্য দায়ী করা হবে এবং তাদের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
যদিও ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হুতিদের কার্যক্রমকে তেহরানের থেকে আলাদা করার চেষ্টা করেছেন। তবে, হুতি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি লোহিত সাগরে অবস্থিত মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যানের দিকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যদিও সেগুলো জাহাজে আঘাত হানতে ব্যর্থ হয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক এমনিতেই ভালো নয়। তাদের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে এমন হুঁশিয়ারি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস