রান্নাঘরের তেল: স্বাস্থ্যকর পছন্দ কীভাবে করবেন?
খাবার রান্নার জন্য সঠিক তেল নির্বাচন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের রান্নার তেল পাওয়া যায়, যেমন সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, পাম তেল, সানফ্লাওয়ার তেল এবং আরও অনেক কিছু। এইসব তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং রান্নার ধরনের ওপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবহার ভিন্ন হতে পারে।
সয়াবিন তেল আমাদের দেশে খুবই প্রচলিত। এটি রান্নার একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম, তবে স্বাস্থ্যকর দিক বিবেচনা করলে এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অন্যদিকে, সরিষার তেল ঐতিহ্যগতভাবে আমাদের রান্নার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং অনেক বাঙালি রান্নার জন্য এটি অপরিহার্য।
পাম তেলও আজকাল বেশ জনপ্রিয়, তবে এর স্বাস্থ্যগত দিক নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
স্বাস্থ্যকর রান্নার তেলের বিষয়ে কিছু সাধারণ ধারণা রয়েছে। যেমন, অনেকে মনে করেন সব ধরনের তেলই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আবার কেউ কেউ মনে করেন, শুধুমাত্র বিদেশি তেল ব্যবহার করা ভালো। তবে, বাস্তবতা হলো, প্রতিটি তেলের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং রান্নার ধরনের ওপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবহার করা উচিত।
উদাহরণস্বরূপ, উচ্চ তাপমাত্রায় ভাজার জন্য উচ্চ স্মোকিং পয়েন্টযুক্ত তেল ব্যবহার করা ভালো, যেমন – রাইস ব্রান তেল বা সানফ্লাওয়ার তেল। কম তাপমাত্রায় রান্নার জন্য জলপাই তেল বা অ্যাভোকাডো তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও, তেলের গুণাগুণ নির্ভর করে তার উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর। পরিশোধিত তেলের তুলনায় অপরিশোধিত তেল স্বাস্থ্যকর। কারণ, অপরিশোধিত তেলে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো বজায় থাকে।
রান্নার তেল কেনার সময় লেবেল ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রান্নার তেল নির্বাচনে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। প্রথমত, তেলের উৎস এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, রান্নার ধরনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তেল নির্বাচন করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তারা জলপাই তেল বা ক্যানোলা তেল ব্যবহার করতে পারেন।
সর্বোপরি, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য সঠিক রান্নার তেল নির্বাচন করা জরুরি। বিভিন্ন ধরনের তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং রান্নার ধরনের বিষয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে আমরা আমাদের খাদ্যভ্যাসকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারি। রান্নার তেলের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন