1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 18, 2025 7:52 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
সাগরের ফেনা: দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় কী ঘটল? অসুস্থ সার্ফার, মৃত সামুদ্রিক প্রাণী! আশ্চর্য! অসুস্থ পোপকে দেখতে ইতালি যাচ্ছেন রাজা চার্লস ও কুইন ক্যামিলা! কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়ে ট্রাম্পের হুমকি, পাশে ব্রিটেন ও ফ্রান্স! মার্কিন আক্রমণ: ইয়েমেনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি, ট্রাম্পের কড়া বার্তা! বাইডেন পরিবারের নিরাপত্তা কেড়ে নিলেন ট্রাম্প! অতঃপর… ডোজ কর্মীদের তাণ্ডব: মার্কিন শান্তি ইনস্টিটিউটে দুঃসাহসিক অভিযান! হার্ভার্ডে বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ! কাদের জন্য? মেক্সিকোতে এমএস-১৩ গ্যাংয়ের শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার! পরিবেশের জন্য ঘাস-খাওয়ানো গরুর মাংস কি ভালো? গবেষণায় আসল সত্যি! কোন তেল স্বাস্থ্যের জন্য সেরা? আপনার সব প্রশ্ন!

ট্রাম্পের নির্দেশে এল সালভাদরের মেগা কারাগারে ভয়ঙ্কর দৃশ্য!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Tuesday, March 18, 2025,

এল সালভাদরের একটি বিশাল কারাগারে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্যদের নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে’র বিতর্কিত ‘কঠোর হাতে অপরাধ দমন’ নীতির অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদরের কুখ্যাত ‘সেকোট’ (CECOT) কারাগারটি বর্তমানে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি আমেরিকার বৃহত্তম কারাগার হিসেবে পরিচিত, যেখানে প্রায় ৪০ হাজার বন্দী রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ এই কারাগারে ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ‘ট্রেন ডে আরুয়াগা’ এবং এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্য সন্দেহে ২৬১ জনকে deport করে।

এর মধ্যে ২৩৮ জন ‘ট্রেন ডে আরুয়াগা’ এবং ২৩ জন এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের কারণ হিসেবে জানা যায়, দেশটির সরকার এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।

চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এই বন্দীদের দেখাশোনার জন্য এল সালভাদরকে বছরে ৬ মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে। যদিও এল সালভাদরের কারাব্যবস্থা পরিচালনার জন্য বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়।

কারাগারের পরিবেশ নিয়ে ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। বন্দীদের সেখানে চরম মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়।

সম্প্রতি, সিএনএন-এর একটি দল কারাগারটি পরিদর্শন করে সেখানকার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। তাদের ভাষ্যমতে, প্রত্যেক সেলে প্রায় ৮০ জনের মতো বন্দী রাখা হয়, যেখানে তাদের জন্য রয়েছে সীমিত সুযোগ-সুবিধা।

বন্দীদের দিন-রাত প্রায় ২৩ ঘণ্টা সেলের মধ্যে কাটাতে হয়। তাদের ঘুমানোর জন্য রয়েছে লোহার তৈরি বেঞ্চ, নেই কোন বিছানা বা বালিশ।

বাথরুম এবং অন্যান্য keperluan-এর জন্য রয়েছে সিমেন্টের তৈরি বেসিন ও বালতি। খাবার পরিবেশন করা হয় সেলের বাইরে থেকে।

কারাগারে আসা নতুন বন্দীদের উপর সেখানকার কর্মকর্তাদের কঠোরতাও নজরে এসেছে। বন্দীদের সেখানে নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

এমনকি তাদের মাথার চুল কামিয়ে দেওয়া হয় এবং কঠোরভাবে বিভিন্ন নিয়ম-কানুন মানতে বাধ্য করা হয়।

প্রেসিডেন্ট বুকেলে’র সরকার অপরাধ দমনের নামে জরুরি অবস্থা জারি করেছে, যার ফলে অনেকের মৌলিক অধিকার খর্ব হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে অনেক নিরীহ মানুষও অন্যায়ভাবে আটক হয়েছেন।

যদিও সরকারের দাবি, তাদের কঠোর পদক্ষেপের কারণে দেশে অপরাধের হার কমেছে এবং দেশটি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ। বুকেলে স্বীকার করেছেন যে কিছু নির্দোষ মানুষকে আটক করা হয়েছে, তবে তাদের মধ্যে কয়েক হাজারকে এরই মধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

তবে, কারাগারে বন্দী থাকা ব্যক্তিদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নেই। এমনকি তাদের মুক্তির সম্ভাবনাও অনিশ্চিত।

এল সালভাদরের পাবলিক সিকিউরিটি মন্ত্রী গুস্তাভো ভিলাতোরো সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমরা সাধারণ অপরাধীদের পুনর্বাসনে বিশ্বাস করি।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT