1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 18, 2025 1:26 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
রাগবিতে নতুন চমক! খেলা দেখতে আলাদা গ্যালারি? ইউনাইটেডের টিকিট-এর দামে আগুন! ভক্তদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙার শঙ্কা? আতঙ্কের নাম ত্রেন দে আরাগুয়া: যুক্তরাষ্ট্রেও কি সক্রিয় এই গ্যাং? হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর: আতঙ্কিত ভারতীয়-আমেরিকান, নিন্দায় মুখর বিশ্ব! ধর্মীয় উৎসবে মেতে উঠলো ইসরায়েলের মানুষেরা, দেখুন পুরিমের আকর্ষণীয় ছবি! পাঠাগারে কী হয়? খ্রিস্টান বিজ্ঞান পাঠাগারের অজানা জগৎ! হুঁশিয়ার! ইরানকে দায়ী করে হুতিদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপের হুমকি ট্রাম্পের শিশুদের হত্যা মামলায় লুসি লেটবির চাঞ্চল্যকর পদক্ষেপ, তদন্ত বন্ধের দাবি! আতঙ্ক! ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় ইয়েল অধ্যাপকদের সতর্কতা নিউক্যাসল: বহু প্রতীক্ষিত শিরোপা জয়, ক্যামেরাবন্দী তারকা মুখ!

মহাকাশের রহস্য! কেন আসে বসন্ত?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Monday, March 17, 2025,

বসন্তের আগমন: কেন বিষুব আমাদের ঋতু পরিবর্তনের বার্তা দেয়

সূর্য আর পৃথিবীর সম্পর্ক সবসময়ই এক আকর্ষণীয় বিষয়। প্রতি বছর দুটি নির্দিষ্ট সময়ে দিন ও রাতের আলো প্রায় সমান হয়ে আসে, যা বিষুব নামে পরিচিত।

এই ঘটনা প্রকৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ সংকেত, যা ঋতু পরিবর্তনের সূচনা করে। আগামী ২০শে মার্চ, ২০২৫ তারিখে, উত্তর গোলার্ধে বসন্তের আগমন ঘটবে, যখন দিন বড় হতে শুরু করবে এবং রাতের অন্ধকার ধীরে ধীরে কমে আসবে।

এরপর, সেপ্টেম্বর মাসে, শরৎকালের শুরু হয়, যখন দিন ছোট হতে থাকে এবং রাতের আধিক্য বাড়ে।

আসলে, বিষুব হয় পৃথিবীর নিজস্ব কৌণিক অবস্থানের কারণে। আমাদের গ্রহটি সূর্যের চারদিকে ঘুরতে গিয়ে ২৩.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে।

এর ফলে, বছরের বিভিন্ন সময়ে সূর্যের আলো পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে ভিন্নভাবে পৌঁছায়। বিষুবের সময়, সূর্যের আলো নিরক্ষরেখার ঠিক উপরে পড়ে, ফলে উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধ উভয় স্থানেই দিন ও রাতের মধ্যেকার পার্থক্য প্রায় থাকে না।

বায়ুমণ্ডলের কারণে যদিও আলোর সামান্য বিচ্ছুরণ ঘটে, যার ফলে দিন-রাতের একেবারে নিখুঁত সমতা দেখা যায় না।

শুধু পৃথিবীই নয়, সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহগুলোতেও বিষুবের ঘটনা ঘটে। যেমন, শনিগ্রহে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

২০০৯ সালে ক্যাসিনি মহাকাশযান শনির বলয়গুলির একটি বিষুবের ছবি তুলেছিল। শনিগ্রহে বিষুব প্রতি ১৫ বছর পর পর আসে, যা পৃথিবীর হিসাবে প্রায় অর্ধেক বছর।

প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এই বিষুবকে চিহ্নিত করেছে। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে এর উদযাপনও দেখা যায়।

প্রাচীন মিশরের পিরামিড থেকে শুরু করে পাথরের খোদাই করা ক্যালেন্ডার, এমনকি গির্জার স্থাপত্যেও সূর্যের অবস্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাগুলো চিহ্নিত করার মাধ্যমে মানুষ ঋতু পরিবর্তনের ধারণা লাভ করত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিডওয়েস্টের লাকোটা উপজাতিরা বিষুবকে বিশেষভাবে উদযাপন করে। তারা লাল উইলো গাছের পাতা থেকে তামাক তৈরি করে এবং বিশেষ অনুষ্ঠানে তা ব্যবহার করে।

তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই গাছের সঙ্গে আকাশের সম্পর্ক রয়েছে এবং বসন্তের বিষুবের সময় সূর্যোদয় হয় ‘শুকনো উইলো’ নক্ষত্রপুঞ্জে। এছাড়া, ইংল্যান্ডের স্টোনhenge-এও এই সময়ে ড্রুইড এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা একত্রিত হয়ে সূর্যের উদয় প্রত্যক্ষ করে।

বিষুবের ধারণা আমাদের ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে পরিচিত করায়। এটি প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা জীবনের গতিশীলতা বজায় রাখে।

তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT