ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, লোহিত সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বিদেশি জাহাজে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের কোনো ধরনের হামলার জন্য সরাসরি ইরানকে দায়ী করা হবে। ট্রাম্পের মতে, হুতি বিদ্রোহীরা যেসব হামলা চালাচ্ছে, তার পেছনে ইরানের মদদ রয়েছে।
সোমবার (প্রকাশের তারিখ উল্লেখ করতে হবে) সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশালে’ এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “ভবিষ্যতে হুতিদের ছোড়া প্রতিটি গুলির জন্য ইরানকে দায়ী করা হবে। ইরানকে এর ফল ভোগ করতে হবে এবং সেই ফল হবে মারাত্মক।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন তার প্রশাসন হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই বিমান হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলায় তেহরানের সঙ্গে আলোচনা শুরুর জন্য ট্রাম্প যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তার জবাব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে ইরান।
হুতি বিদ্রোহীদের ‘ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী’ হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যদি তারা কোনো হামলা চালায়, তবে এর জবাব দেওয়া হবে কঠোরভাবে এবং সেই জবাব যে এখানেই থেমে যাবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।” ট্রাম্পের অভিযোগ, ইরান “নিরীহ ভিকটিম” সেজে আসলে বিদ্রোহীদের “নিয়ন্ত্রণ” করছে।
তিনি আরও বলেন, “তারা (ইরান) বিদ্রোহীদের প্রতিটি পদক্ষেপের নির্দেশনা দিচ্ছে, অস্ত্র সরবরাহ করছে, বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে এবং এমনকি গোয়েন্দা তথ্যও সরবরাহ করছে।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কারণ স্পষ্ট নয়। তবে, ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান সম্প্রতি হুতিদের কর্মকাণ্ডকে তেহরানের কার্যক্রম থেকে আলাদা করার চেষ্টা করেছেন। উল্লেখ্য, হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যানকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল, যদিও সেগুলো জাহাজে আঘাত হানতে পারেনি।
ইরান তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাম্পের এই পোস্টের ওপর কোনো মন্তব্য করেনি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান