উত্তর মেসিডোনিয়ার একটি নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গত কয়েকদিনের এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৯ জন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন তরুণ। খবরটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
আহত হয়েছেন আরও ১৫৫ জন। কয়েক দিন আগে, কোকানি শহরের পালস নাইটক্লাবে একটি কনসার্টের সময় এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
জানা যায়, ডিএনকে নামের একটি সঙ্গীত দলের পরিবেশনার সময় ফায়ার থেকে নির্গত স্ফুলিঙ্গ ছাদকে আলোকিত করে এবং মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায়।
এই ভয়াবহ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে অনেকের বয়স ছিল কুড়ি বছরের নিচে, এমনকি ১৭ বছর বয়সীও ছিল।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনার পর থেকে উত্তর মেসিডোনিয়ার বিভিন্ন শহরে শোকের মাতম চলছে। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় বিভিন্ন স্থানে প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
কোকানি শহরে নিহতদের সমাধিস্থলে হাজার হাজার মানুষ তাদের প্রিয়জনদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হন। অনেকের হাতে ছিল সাদা ফুলের তোড়া, আবার কেউ প্রিয়জনের ছবি বুকে নিয়ে এসেছিলেন।
ঘটনার পর কর্তৃপক্ষের গাফিলতি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। নাইটক্লাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এরই মধ্যে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
অর্থোডক্স চার্চের প্রধান আর্চবিশপ স্টিফেন শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন এবং নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। তিনি এই কঠিন সময়ে সবাইকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং জাতীয় ঐক্যের উপর জোর দিয়েছেন।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা স্থিতিশীল। তবে, ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে এবং ভবিষ্যতে এর ফলস্বরূপ আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম