মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০-এর খোঁজে আবারও অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে একটি মার্কিন কোম্পানি। এই মর্মান্তিক ঘটনার এক দশক পর, টেক্সাস-ভিত্তিক সমুদ্র প্রযুক্তি সংস্থা ওশান ইনফিনিটিকে ভারত মহাসাগরে তল্লাশি চালানোর অনুমতি দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।
২০১৪ সালের ৮ই মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে চীনের রাজধানী বেইজিংগামী একটি ফ্লাইটে ছিলেন ২৩৯ জন যাত্রী। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই রাডার থেকে বিমানটির কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি।
স্যাটেলাইট ডেটা বিশ্লেষণ করে ধারণা করা হয়, বিমানটি ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপর বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি ২০১৮ সালেও ওশান ইনফিনিটি নামের একটি বেসরকারি সংস্থা একই চেষ্টা চালিয়েছিল, কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
মালয়েশিয়ার পরিবহন মন্ত্রী অ্যান্টনি লোক জানিয়েছেন, নতুন অনুসন্ধানের জন্য ওশান ইনফিনিটির সঙ্গে ‘যদি খুঁজে পাওয়া যায়, তবেই অর্থ প্রদান’ চুক্তিতে রাজি হয়েছে সরকার। অর্থাৎ, যদি বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়, তবে কোম্পানিটিকে প্রায় ৭ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করা হবে।
এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে দাঁড়ায় সাতশ’ কোটি টাকার বেশি, যা বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী কম-বেশি হতে পারে।
ওশান ইনফিনিটি জানিয়েছে, তারা তাদের প্রযুক্তি উন্নত করেছে এবং একটি নতুন, ১৫,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় অনুসন্ধান চালাবে। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অলিভার পাংকেট এর আগে জানিয়েছিলেন, তারা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করছেন এবং সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত করেছেন।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই ওশান ইনফিনিটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে এবং আশা করা হচ্ছে, আগামী জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হতে পারে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার এখনো নিখোঁজ যাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেই বিষয়েও তারা সচেতন।
ভারত মহাসাগরের গভীরতা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান চালানো বেশ কঠিন। তারপরও, মালয়েশিয়া সরকার এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত।
তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস