মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি, টেসলার সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার ঘোষণা করেছেন। তার মতে, এই ধ্বংসযজ্ঞ ‘অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ’-এর শামিল।
বৃহস্পতিবারের এক বিবৃতিতে বন্ডি বলেন, “অপরাধ করে পার পাওয়ার দিন শেষ। যারা টেসলার বিরুদ্ধে এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত হবে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।”
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা “মলোটভ ককটেল ব্যবহার করে টেসলার গাড়ি ও চার্জিং স্টেশনে আগুন ধরিয়েছিল।” ওরেগনের সালেমে অবস্থিত একটি টেসলা ডিলারশিপে প্রায় আটটি মলোটভ ককটেল নিক্ষেপের পরে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় তার কাছে একটি ‘সাপ্রেসড এআর-১৫ রাইফেল’ ছিল। এছাড়া, কলোরাডোর লাভল্যান্ডে অপর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি মলোটভ ককটেল দিয়ে টেসলার গাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
তার কাছ থেকে আরও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। দক্ষিণ ক্যারোলাইনার চার্লসটনে, অভিযুক্ত ব্যক্তি টেসলার চার্জিং স্টেশনের আশেপাশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বার্তা লিখেছিলেন এবং পরে মলোটভ ককটেল দিয়ে চার্জিং স্টেশনগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেন।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রত্যেককে গুরুতর অভিযোগের সম্মুখীন হতে হবে, যার সর্বনিম্ন শাস্তি পাঁচ বছর এবং সর্বোচ্চ ২০ বছর কারাদণ্ড। তবে, ঠিক কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনার পেছনের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে টেসলার মালিক ইলন মাস্কের বিতর্কিত ভূমিকা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে মাস্ক মার্কিন সরকারের কর্মী ছাঁটাই এবং বাজেট কমানোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
অনেকে মনে করেন, এর জের ধরেই টেসলার বিরুদ্ধে এই ধরনের নাশকতামূলক কার্যকলাপ বাড়ছে।
ওয়েডবুশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড্যান আইভস এই প্রসঙ্গে বলেছেন, মাস্কের বিতর্কিত কার্যক্রমের কারণে টেসলার ব্র্যান্ডের ক্ষতি হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
মাস্ক অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, “টেসলা একটি শান্তিপূর্ণ কোম্পানি, আমরা কখনো কোনো ক্ষতিকর কাজ করিনি।”
তবে, তিনি স্বীকার করেছেন যে, সরকারের কিছু সিদ্ধান্তের কারণে তিনি অনেকের বিরাগভাজন হয়েছেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান