সুদানের রাজধানী খার্তুমে সেনাবাহিনীর অগ্রাভিযান অব্যাহত, দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। শনিবার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাবিল আব্দুল্লাহ এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সেনারা খার্তুমের কেন্দ্রস্থলে থাকা র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস-এর (আরএসএফ) সদস্যদের হটিয়ে দিয়েছে। এর আগে, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট প্যালেস দখলের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক বিজয় অর্জন করে।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে আরএসএফ ড্রোন হামলা চালায়, যাতে নিহত হন তিনজন সাংবাদিক এবং বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য।
সেনাবাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, আরএসএফ যোদ্ধারা প্রাসাদ সংলগ্ন আল-মোগ্রান এলাকার বিভিন্ন ভবনে আশ্রয় নেয়। ব্যাংক ও ব্যবসায়িক কার্যালয়গুলোতে তারা অবস্থান নেয় এবং ওমদুরমান শহরের দিকে স্নাইপার মোতায়েন করে।
উল্লেখ্য, নীল নদের ওপারে অবস্থিত ওমদুরমান শহরটি খার্তুমের কেন্দ্র থেকে দেখা যায়।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারি ও আর্থিক জেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে রাজধানীতে সেনাবাহিনীর অবস্থান আরও সুসংহত হবে এবং তারা সংঘাতে সুবিধা পাবে।
আল জাজিরার সাংবাদিক হিবার মতে, গত কয়েক মাসে রাজধানী খার্তুমের উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে আরএসএফ-এর কাছ থেকে জায়গা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী। তবে, এখনো পশ্চিমাঞ্চলে আরএসএফ-এর উপস্থিতি রয়েছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি এমন যে, কার্যত সুদানের পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর হাতে এবং পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ আরএসএফ-এর হাতে রয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে সুদানে সেনাবাহিনী প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলোর নেতৃত্বাধীন আরএসএফ-এর মধ্যে এই সংঘর্ষ চলছে।
দুই বছর ধরে চলা এই সংঘাতে দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা