গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন প্রতিনিধি দল: সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগে প্রধানমন্ত্রী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্সের স্ত্রী উশা ভেন্স এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ-এর গ্রিনল্যান্ড সফরের জেরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেদে এই সফরকে “উস্কানিমূলক” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি মনে করেন, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ডের উপর নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের চেষ্টা করছে।
খবরে প্রকাশ, আগামী ২৯শে মার্চ তারিখে এই প্রতিনিধি দলের যুক্তরাষ্ট্র ফেরার কথা রয়েছে। গ্রিনল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শনেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের কারণ হিসেবে জানা যায়, গ্রিনল্যান্ডের কৌশলগত অবস্থান এবং খনিজ সম্পদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ রয়েছে।
গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের একটি স্ব-শাসিত অঞ্চল। ডেনমার্ক সরকার এবং গ্রিনল্যান্ড উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের এই সম্ভাব্য পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে।
গ্রিনল্যান্ডের বর্তমান সরকার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা অবশ্যই সার্বভৌমত্বের নীতির উপর ভিত্তি করে হতে হবে। গ্রিনল্যান্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ডেনমার্ক সরকার এবং গ্রিনল্যান্ডের ভবিষ্যৎ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হবে।
গ্রিনল্যান্ডের অবস্থান ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে সংক্ষিপ্ততম পথ তৈরি করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কীকরণ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও, দেশটির খনিজ সম্পদও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান