যুদ্ধ পরিস্থিতির ১,১২৪ তম দিনে, ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে সোমবারের প্রধান ঘটনাগুলি হলো:
সোমবার, ২৪শে মার্চ, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ১,১২৪ তম দিনে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত ছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলির খবর অনুযায়ী, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে।
বিশেষ করে, পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে। ইউক্রেনের সামরিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাখমুত এবং আভদিভকা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়ার সৈন্যদের আক্রমণ প্রতিহত করতে তারা এখনো পর্যন্ত সক্ষম হয়েছে। তবে, উভয় পক্ষের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, যা গভীর উদ্বেগের কারণ।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মহল থেকে আসা খবর অনুযায়ী, কিয়েভ এবং মস্কোর মধ্যে শান্তি আলোচনা এখনো পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। বিভিন্ন দেশের নেতারা এই সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে, দুই পক্ষের অনমনীয় মনোভাবের কারণে আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
এছাড়াও, সোমবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউক্রেনকে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। উদ্বাস্তুদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র এবং চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা কয়েক মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে, যাদের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত প্রয়োজন।
অন্যদিকে, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে আরও একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে অর্থনৈতিক এবং সামরিক খাতের ওপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
এই নিষেধাজ্ঞাগুলি রাশিয়ার অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি, এই সংঘাত বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। খাদ্যশস্য ও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়ছে।
বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতেও এর নেতিবাচক প্রভাব অনুভূত হচ্ছে।
সংক্ষেপে, সোমবারের প্রধান ঘটনাগুলো হলো যুদ্ধক্ষেত্রের তীব্রতা বৃদ্ধি, শান্তি আলোচনার অচলাবস্থা, মানবিক সহায়তা এবং রাশিয়ার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি। এই পরিস্থিতিতে, সংঘাতের দ্রুত অবসানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা