মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, পাসপোর্ট নীতিমালায় পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন রূপান্তরকামীরা। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে এই পরিবর্তন আনা হয়েছিল, যার ফলে অনেক রূপান্তরকামী এবং ভিন্ন লিঙ্গের মানুষেরা তাদের পাসপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এই নীতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে, যেখানে তাদের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই চলছে।
বোস্টনে, এই মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আসা আইনজীবী শ্রুতি স্বামীনাথান জানান, এই নীতির কারণে রূপান্তরকামীরা হয়রানি, বৈষম্য এবং সহিংসতার শিকার হতে পারেন।
পাসপোর্ট হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র, যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন নীতির কারণে, অনেক রূপান্তরকামী তাদের পাসপোর্টে সঠিক লিঙ্গ পরিচয় যুক্ত করতে পারছেন না।
এর ফলে তাদের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থানে তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
মামলার বাদী অ্যাশ লাজারাস অর বলেন, তিনি একটি নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য দুই মাসের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছেন। তিনি চান তার পাসপোর্টে তার লিঙ্গ পরিচয় সঠিকভাবে উল্লেখ করা হোক।
কিন্তু নতুন নীতিমালার কারণে তিনি তা করতে পারছেন না। এর ফলে তিনি বিদেশে চিকিৎসা সেবা নিতে যেতে পারছেন না, যা তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আদালতে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এই মামলাটি লড়ছে।
তারা আদালতের কাছে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছেন, যা এই নীতিকে সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারে। এসিএলইউ-এর মতে, এই নীতি রূপান্তরকামীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে।
তবে, ট্রাম্প প্রশাসন তাদের নীতির পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে যে, পাসপোর্ট নীতি পরিবর্তন সংবিধানের সমান অধিকারের নিশ্চয়তা লঙ্ঘন করে না। তারা আরও দাবি করেছে যে, প্রেসিডেন্ট পাসপোর্ট নীতি নির্ধারণে বৃহত্তর স্বাধীনতা রাখেন এবং এই নীতিমালার কারণে বাদীদের কোনো ক্ষতি হবে না, কারণ তারা এখনও বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন।
এই মামলার রায় এখন পর্যন্ত আসেনি। তবে, এটি রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের অধিকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। এই মামলার ফল তাদের জীবন এবং অধিকারের উপর গভীর প্রভাব ফেলবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস