নারী লেখকদের অসামান্য সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া ‘উইমেন’স প্রাইজ ফর নন-ফিকশন’-এর জন্য এবার সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। এই বছর, পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ছয়জন খ্যাতিমান লেখক, যাদের বইগুলোতে ফুটে উঠেছে মানুষের জীবন, সমাজ এবং প্রকৃতির বিভিন্ন দিক।
তালিকার শীর্ষে রয়েছেন জনপ্রিয় শিল্পী নেনিহ চেরি। তাঁর আত্মজীবনী ‘এ থাউজেন্ড থ্রেডস’ বইটির জন্য তিনি মনোনীত হয়েছেন, যেখানে প্রেম, পরিবার এবং সৃজনশীলতার এক উজ্জ্বল চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও, আধুনিক চীনের প্রেক্ষাপটে রচিত রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইউয়ান ইয়াংয়ের ‘প্রাইভেট রেভোলিউশনস’ বইটি উল্লেখযোগ্য। এই বইয়ে চারজন তরুণীর জীবনকথার মাধ্যমে চীনের পরিবর্তনের গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার বিষয়ক গভীর অনুসন্ধানী বই ‘দ্য স্টোরি অফ আ হার্ট’-এর জন্য মনোনীত হয়েছেন ড. রাচেল ক্লার্ক। বইটিতে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের মতো জটিল বিষয়কে কেন্দ্র করে মানুষের জীবনের গল্প বলা হয়েছে। তালিকায় আরও আছেন ক্লোয়ি ডাল্টন, যিনি তাঁর ‘রাইজিং হেয়ার’ বইয়ে একটি খরগোশ শাবকের প্রতি ভালোবাসার গল্প বলেছেন। সমুদ্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে হেলেন স্কেলসের লেখা ‘হোয়াট দ্য ওয়াইল্ড সি ক্যান বি’ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা ক্লার ম্যালির ‘এজেন্ট জো’ বইটিও এবারের পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
পুরস্কারের বিচারক, বিশিষ্ট সাংবাদিক কবিতা পুরি, এই বছর মনোনীত বইগুলোর বিষয়বৈচিত্র্যের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “এই বইগুলো অসাধারণ ভাষা, কারুকার্য এবং মানব জীবন ও আমাদের বিশ্ব সম্পর্কে নতুন ধারণা দেয়।
উল্লেখ্য, এই পুরস্কারের মাধ্যমে নন-ফিকশন বিভাগে নারীদের সাহিত্যকর্মকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, আগে নন-ফিকশন বিভাগে পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। বিজয়ীর নাম আগামী ১২ই জুন ঘোষণা করা হবে, একই দিনে ঘোষণা করা হবে ‘উইমেন’স প্রাইজ ফর ফিকশন’-এর বিজয়ীর নামও।
এই পুরস্কারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অনলাইন বংশতালিকা বিষয়ক পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ফাইন্ডমাইপাস্ট’। পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রায় ৩০,০০০ পাউন্ড (যা বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪১ লক্ষ টাকার সমান)।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান