ব্রাজিলের তরুণ ফুটবলার কেরোলিন নিকোলি বর্তমানে বিশ্ব ফুটবলে নিজের জায়গা পাকা করার স্বপ্নে বিভোর। ম্যানচেস্টার সিটি উইমেনের হয়ে খেলা এই স্ট্রাইকার সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ পারফর্ম করে সকলের নজর কেড়েছেন।
চেলসির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ এসিস্ট করেন, যা ছিল তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত।
২৫ বছর বয়সী কেরোলিনের স্বপ্ন অনেক বড়। তিনি চান বিশ্বের সেরা ফুটবলার হতে এবং বিশ্বকাপ জিততে।
উত্তর ক্যারোলিনা কারেজ থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে আসার কারণ হিসেবে তিনি জানান, ইউরোপে খেললে বিশ্বজুড়ে তার পরিচিতি বাড়বে, কারণ ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ড জয়ী খেলোয়াড়দের অধিকাংশই ইংল্যান্ড অথবা স্পেনে খেলেন।
কেরোলিনের মতে, জীবন স্বপ্নের জন্য, তাই নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানানোর উদ্দেশ্যে তিনি এখানে এসেছেন।
ম্যানচেস্টার সিটিতে মানিয়ে নেওয়াটা তার জন্য সহজ ছিল, বিশেষ করে মাঠের খেলায়। তবে এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরুতে বেশ কষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আমেরিকার ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে আমি পরিচিত, কিন্তু ম্যানচেস্টারের শীতের কাছে তা কিছুই নয়।”
তবে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে এই প্রতিকূলতাকে তিনি জয় করতে চান।
কেরোলিনের ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন দুটোই রয়েছে। ২০২৩ সালে তিনি ন্যাশনাল উইমেন্স সকার লিগের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন, কিন্তু এর পরেই হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিলেন।
এরপর তিনি ব্রাজিলের জাতীয় দলে ফিরে আসেন এবং ২০২৪ অলিম্পিকে রৌপ্য পদক জেতেন।
কেরোলিনের সতীর্থ খাদিজা শ-কে একবার মাঠের বাইরে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হতে হয়।
কেরোলিন সেই সময় খাদিজাকে সমর্থন জুগিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা আমাকে খুব কষ্ট দেয়। তবে আমি বুঝেছি, যারা আমাকে সমালোচনা করে, তারা আমার ভেতরের কষ্ট বোঝে না। তাই তাদের কথায় আমি গুরুত্ব দিই না।”
২০২৭ সালের মহিলা বিশ্বকাপ ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং কেরোলিন চান তার দেশ এই টুর্নামেন্টে ভালো করুক।
তিনি মনে করেন, ব্রাজিলের ফুটবল প্রতিভার ভান্ডার। বাইরের মানুষের কাছে ব্রাজিল মানেই যেন উৎসব, পার্টি, কিন্তু তাদের সংস্কৃতি আরও গভীর।
বিশ্বকাপে অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়েরা যখন ব্রাজিল আসবে, তখন তারা তাদের সংস্কৃতিকে নতুনভাবে উপলব্ধি করতে পারবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান