আফগানিস্তানের নারী ফুটবল দল বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। দেশটির তালেবান সরকার নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এর ফলস্বরূপ, ফিফা’র (FIFA) নিয়ম অনুসারে, আফগান নারী দল কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছে না, কারণ তাদের জাতীয় ফেডারেশন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার রিচার্ড বেনেট ফিফার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা আফগানিস্তানে নারী ফুটবলারদের উপর এই ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
বেনেট মনে করেন, নির্বাসিত আফগান নারী ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ফেরার সুযোগ দেওয়া উচিত।
আফগান নারী দলের খেলোয়াড়রা এখন বিশ্বজুড়ে ক্রীড়াবিদদের কাছে সমর্থন চেয়েছেন। তাদের মূল লক্ষ্য হলো, খেলাধুলায় লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক ঐক্যের সৃষ্টি করা।
দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খেলাধুলায় নারীদের অধিকার আদায়ে সবার এগিয়ে আসা উচিত।
আফগান নারী দলের সাবেক অধিনায়ক মুরসাল সাদাত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বিশ্বের সকল ক্রীড়াবিদদের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ, আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।
নারীদের সমর্থনে নারীরাই এগিয়ে আসুন।
তিনি আরও যোগ করেন, খেলোয়াড়দের সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া সামান্য একটি ভিডিও বার্তা পর্যন্ত আফগানিস্তানে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংহতি জানাতে পারে।
আফগান নারী দলের প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক অধিনায়ক খালিদা পোপাল বলেছেন, তারা ফিফার বিরুদ্ধে লড়ছেন না, বরং তাদের সঙ্গে সহযোগিতা চান।
পোপালের মতে, খেলাধুলা একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে মিডিয়া, ব্যক্তি, বিভিন্ন সংস্থা এবং ফিফার মতো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
তাদের মূল লক্ষ্য হলো, আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতিকে একটি উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করে, অন্য কোনো দেশে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করা।
২০২০ সালে আফগানিস্তানে ২৫ জন নারী ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন, যাদের অধিকাংশই এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা