ওটকেক: স্বাস্থ্যকর এবং মুখরোচক জলখাবার
ওটকেক, যা মূলত স্কটল্যান্ডের একটি পরিচিত খাবার, বর্তমানে সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এটি এক প্রকারের বিস্কুট বা ক্র্যাকারের মতো, যা ওটস থেকে তৈরি করা হয়।
ওটকেক একটি স্বাস্থ্যকর জলখাবার, যা উচ্চ ফাইবারযুক্ত এবং শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়। যারা স্বাস্থ্য সচেতন এবং মুখরোচক কিছু খেতে চান, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ বিকল্প।
বাইরের কেনা ওটকেকের থেকে বাড়িতে তৈরি করলে এর স্বাদ ও গুণাগুণ দুটোই নিশ্চিত করা যায়। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে সহজে ওটকেক তৈরি করা যায়।
উপকরণ:
প্রস্তুত প্রণালী:
১. ওভেন প্রস্তুত করুন: প্রথমে ওভেন ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (390°F) প্রিহিট করুন। একটি বেকিং ট্রে-তে বেকিং পেপার বিছিয়ে নিন।
২. ওটস টোস্ট করুন: মিডিয়াম ওটমিল, পিনহেড ওটমিল এবং পোরিজ ওটস বেকিং ট্রে-তে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ওভেনে প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য বেক করুন। মাঝে মাঝে ট্রে ঝাঁকাতে থাকুন, যাতে সব দিক সোনালী হয়ে আসে।
ওটস থেকে সুন্দর গন্ধ বের হওয়া শুরু হলে বুঝবেন এটি হয়ে গেছে।
৩. উপকরণ মেশান: একটি বড় বাটিতে বেক করা ওটস নিন। এর সাথে নুন ও চিনি মিশিয়ে নিন (ইচ্ছা অনুযায়ী)। আপনি চাইলে সামান্য শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো অথবা আদা বাটা যোগ করতে পারেন, যা ওটকেকের স্বাদ আরও বাড়িয়ে তুলবে।
৪. বাটার ও জল মেশান: একটি বাটিতে গরম জলে বাটার দিন। বাটার গলে গেলে এটি ওটসের সাথে মিশিয়ে নিন। এরপর ফাইন ওটমিল বা ময়দা যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি নরম, আঠালো ডো তৈরি করুন।
প্রয়োজনে আরও সামান্য ময়দা মেশাতে পারেন।
৫. শেপ তৈরি করুন: একটি পরিষ্কার সমতল স্থানে সামান্য ওটমিল বা ময়দা ছিটিয়ে দিন। ডো-টি সেখানে রেখে, বেলন (rolling pin) দিয়ে প্রায় ৫ মিলিমিটার পুরু করে বেলে নিন। আপনার পছন্দসই আকারের কুকি কাটার বা গ্লাস ব্যবহার করে ওটকেকগুলো কেটে নিন।
৬. বেক করুন: ওটকেকগুলো বেকিং ট্রে-তে সামান্য ফাঁকা রেখে সাজিয়ে নিন। ওভেনে ২০ মিনিটের জন্য বেক করুন। ১০ মিনিট পর ট্রেটি ঘুরিয়ে দিন, যাতে সব দিক সমানভাবে বেক হয়।
৭. পরিবেশন করুন: ওটকেকগুলো সোনালী হয়ে এলে ওভেন থেকে বের করে নিন। হালকা ঠান্ডা হতে দিন, এরপর পরিবেশন করুন।
ওটকেক পরিবেশন করার কিছু ভিন্ন উপায়:
বাড়িতে তৈরি ওটকেক স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু একটি জলখাবার। এটি তৈরি করা যেমন সহজ, তেমনি এর স্বাদও অসাধারণ। স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় ওটকেক যোগ করে আপনার খাদ্যভ্যাসকে আরও উন্নত করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: The Guardian