দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সন হিউং-মিন মাঠের খারাপ অবস্থার কারণে আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তাঁর এই অভিযোগের পরেই নড়েচড়ে বসেছে দেশটির ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, দেশের শীর্ষস্থানীয় ফুটবল মাঠগুলোর মান পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি, দক্ষিণ কোরিয়া তাদের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ড্র করে। এর পরেই টটেনহ্যাম হটস্পার্সের এই তারকা ফুটবলার মাঠের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাওয়ার বদলে, মাঠের খারাপ অবস্থার কারণে খেলোয়াড়দের সমস্যা হচ্ছে।
সুওয়ানে জর্ডানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা জানি আমরা আরও ভালো খেলতে পারি, কিন্তু মাঠের অবস্থা যখন আমাদের বাধা দেয়, তখন ঘরের মাঠের সুবিধাটা কোথায়?”
খেলোয়াড়দের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেশটির সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (Ministry of Culture, Sports and Tourism) আগামী এপ্রিল মাস থেকে কোরিয়ান লিগের (K League) অধীনে থাকা ২৭টি স্টেডিয়ামের মাঠ পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুধু তাই নয়, মাঠ রক্ষণাবেক্ষণে জাপানসহ অন্যান্য দেশের কৌশলগুলোও খতিয়ে দেখা হবে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মাঠের অবস্থা সরাসরি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব ফেলে।
এছাড়া, ইনজুরি প্রতিরোধ এবং দর্শকদের সন্তুষ্টির ক্ষেত্রেও মাঠের গুণগত মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মাঠের উন্নতির জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে এবং লিগ, ক্লাব ও স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি টেকসই ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য তাদের।
উল্লেখ্য, ২০২৩ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া এখনো ভালো অবস্থানে রয়েছে।
‘বি’ গ্রুপে তাদের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। তবে, ঘরের মাঠে পরপর দুটি ড্র তাদের জন্য কিছুটা হলেও উদ্বেগের কারণ।
গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে তারা ২০২৩ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, কিন্তু এখনো তাদের দুটি ম্যাচ বাকি আছে।
আসন্ন ম্যাচগুলোতে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে ইরাক ও কুয়েত।
জর্ডান ১৩ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
তাদেরও পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ওমান ও ইরাকের বিরুদ্ধে খেলতে হবে।
খবর অনুযায়ী, খেলার মাঠের এই সমস্যা শুধু সন হিউং-মিনের একার নয়, এর আগে ইংলিশ ফুটবলার জেসি লিনগার্ডও মাঠের খারাপ অবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
বর্তমানে এফসি সিউলে খেলা এই ফুটবলারও মাঠের ঘাস নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা