1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
May 29, 2025 10:46 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
রিলে কিয়োর চরিত্রে মুগ্ধ টেয়লার জেনকিন্স রিড! নতুন ছবিতে কেমন হবে? রাশিয়ার অভ্যন্তরে বোমা বিস্ফোরণে নিহত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা! আতঙ্কে আবাসন বাজার! বাড়ি বিক্রিতে বড় ধাক্কা! যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়: নির্যাতনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র? কাপ্তাই কামারশালায় টুংটাং শব্দে মুখর, বাড়ছে ব্যস্ততা  মা হওয়ার পর কেলি স্ট্যাফোর্ডের ‘মাম্মি মেকওভার’: গোপন অস্ত্রোপচার নিয়ে মুখ খুললেন! কামালা হ্যারিসের সঙ্গে সাক্ষাতে অভিনেতা ইগলেহার্ট: গোপন কথা ফাঁস! নৌকাভর্তি ১১ জনের পচা লাশ! ক্যারিবিয়ানে ভয়ঙ্কর দৃশ্য বিদায় বেলায় রুপার্ট গোল্ড: চমকে ভরা আলমেইডার শেষ যাত্রা! আতঙ্কের প্রতিচ্ছবি! রাচেল হোয়াইটরিডের শিল্পকর্মে প্রকৃতির বুকে একাকীত্বের গল্প

মাঠে নামার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য: ৬ জন ক্রীড়া তারকার গল্প

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Thursday, March 27, 2025,

খেলাধুলার দুনিয়ায় কিছু মুহূর্ত সবসময় দর্শকদের মনে গেঁথে থাকে, যা শুধু খেলার ফলাফল নয়, বরং খেলোয়াড়দের আগমনও তৈরি করে এক দারুণ উন্মাদনা। খেলোয়াড়দের মাঠে নামার কায়দা, তাদের বিশেষ সঙ্গীত, কিংবা দর্শকদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেওয়া কোনো বার্তা—এসব কিছুই খেলার আকর্ষণকে বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে।

আসুন, আজ এমন কিছু স্মরণীয় আগমনের গল্প শোনা যাক, যা খেলাপ্রেমীদের হৃদয়ে আজও গেঁথে আছে।

প্রথমেই আসা যাক বক্সিংয়ের দুনিয়ায়। ব্রিটিশ বক্সার ক্রিস ইউব্যাঙ্ক ছিলেন এই ধরনের আড়ম্বরের পথিকৃৎ। তাঁর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিপক্ষের চোখে ভীতি ধরানো চাহনি—এসবের সঙ্গে যখন টিনা টার্নারের “সিম্পলি দ্য বেস্ট” গানটি বাজতো, তখন যেন পুরো স্টেডিয়ামে অন্যরকম এক আবহ তৈরি হতো।

১৯৯৪ সালে বার্লিনে গ্রাসিয়ানো রোকিচিয়ানির বিরুদ্ধে তাঁর সেই বিখ্যাত “রিং ওয়াক” আজও অনেকের মনে আছে।

ক্রিস ইউব্যাঙ্কের উত্তরসূরি হিসেবে পরিচিত ছিলেন নসিম হামেদ। তিনি তাঁর আগমনে অভিনবত্ব যোগ করে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তাঁর “ফ্লাইং কার্পেট”, “ক্যাডিলাক” এবং “মক গোরস্থান”-এর মতো আকর্ষণীয় উপস্থাপনাগুলো আজও স্মরণীয়।

বাস্কেটবলের কথা বললে শিকাগো বুলসের কথা আসবেই। ১৯৯০-এর দশকে তাদের খেলোয়াড়দের নাম ঘোষণার সময় “দ্য অ্যালান পার্সনস প্রজেক্ট”-এর “সিরিয়াস” গানটি বাজানো হতো। স্কটি পিপেন, ডেনিস রডম্যান এবং মাইকেল জর্ডান—এই কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের নাম যখন ঘোষণা করা হতো, তখন পুরো স্টেডিয়াম যেন আনন্দে ফেটে পড়ত।

এবার আসা যাক ডার্টসের জগতে। এখানেও খেলোয়াড়দের মঞ্চে আসার নিজস্ব স্টাইল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, স্টিফেন বুন্টিংয়ের কথা বলা যায়। “সার্ফিন বার্ড” গানটি থেকে “টাইটানিয়াম”-এর মতো গানে তাঁর প্রবেশ দর্শকদের মধ্যে অন্যরকম উন্মাদনা সৃষ্টি করে।

রাগবি খেলার ইতিহাসে “অল ব্ল্যাকস”-এর হাকা নৃত্য একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। খেলা শুরুর আগে এই ঐতিহ্যপূর্ণ মাওরি যুদ্ধনৃত্য পরিবেশন করা হয়, যা প্রতিপক্ষকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়।

মার্শাল আর্টসের জগতে, বিশেষ করে ইউএফসিতে, রোন্ডা রুজি ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর “ব্যাড রেপুটেশন” গানের সঙ্গে স্টেজে প্রবেশ এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কৌশল—এসব মিলিয়ে তিনি দর্শকদের কাছে এক অন্যরকম আকর্ষণ তৈরি করেছিলেন।

ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের আগমনও দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। স্যার ভিভ রিচার্ডস যখন ক্রিজে নামতেন, তখন তাঁর আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গি এবং মারমুখী ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিতি ছিল। তাঁর আগমন যেন এক যুদ্ধের সূচনা করত, যা দর্শকদের মধ্যে বিপুল উন্মাদনা সৃষ্টি করত।

খেলাধুলা শুধু শারীরিক দক্ষতার প্রদর্শনী নয়, এটি একইসঙ্গে এক ধরনের শিল্পও। খেলোয়াড়দের মঞ্চে আসার স্টাইল, তাদের ব্যক্তিত্ব এবং দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ—এগুলো খেলার আকর্ষণকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই ধরনের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো খেলাধুলার ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকে।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT