ট্রাম্প: শুল্কের কারণে গাড়ির দাম বাড়লে আমার কিছু যায় আসে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, বিদেশি গাড়িগুলোর উপর শুল্ক আরোপের ফলে গাড়ির দাম বাড়লে তিনি তাতে মোটেও চিন্তিত নন। এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন। ট্রাম্পের মতে, এই শুল্কের কারণে আমেরিকান গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো লাভবান হবে এবং তাদের গাড়ির বিক্রি বাড়বে।
আগামী ২ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের উপর নতুন শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে হোয়াইট হাউস। এই পদক্ষেপের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এর ফলে ভোক্তাদের উপর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চাপ বাড়বে।
ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পল। তিনি মনে করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আমেরিকার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। র্যান্ড পল বলেন, বাণিজ্য আমাদের ধনী করেছে এবং বিশ্বকে আরও উন্নত করেছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, বিদেশি গাড়ির উপর স্থায়ীভাবে শুল্ক আরোপ করা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কারখানাগুলোর জন্য ভালো হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, গাড়ির দাম বাড়লে মানুষ আমেরিকান গাড়ি কিনতে উৎসাহিত হবে। নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য ট্রাম্প ভোটারদের কাছে পণ্যের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে এখন তিনি বলছেন, যদি অন্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ কিছু’ দিতে রাজি থাকে, তবেই তিনি শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের মূল উদ্দেশ্য হলো, আমেরিকান উৎপাদন শিল্পকে উৎসাহিত করা এবং দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। তার বাণিজ্য নীতিগুলো প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রধান আগ্রহের বিষয় ছিল এবং এর কারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা গেছে। বিশ্ব অর্থনীতির এই পরিবর্তনে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপরও পরোক্ষ প্রভাব পড়তে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান