প্রথম প্রেমের অনুভূতি: দ্বিধায় ১৬ বছরের কিশোরী
কিশোর বয়সটা এমনিতেই নানা রকম অনুভূতির ঘনঘটা নিয়ে আসে। এর মধ্যে কারো প্রতি ভালো লাগা, ভালোবাসার জন্ম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
কিন্তু যদি সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রে কিছুটা দুর্বলতা থাকে, তাহলে এই অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে দ্বিধা তৈরি হয়। সম্প্রতি, এমন একটি ঘটনার কথা জানা গেছে।
১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী, যার জীবনে এর আগে কারো প্রতি তেমন আকর্ষণ অনুভব হয়নি। বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে, তাদের কাছাকাছি থাকতেও সে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত না।
কারণ, ছোটবেলায় তাকে অনেক জায়গায় থাকতে হয়েছে, ফলে সহজে বন্ধু তৈরি হয়নি। কোভিড পরিস্থিতিও তার সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে বাধা দিয়েছে। সম্প্রতি একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তার পরিচয় হয় একটি ছেলের সঙ্গে।
ছেলেটি তার সঙ্গে কথা বলতে চাইত এবং কিশোরীর ভালো লাগত। এই প্রথমবার, তার মনে হয়েছিল, সে এমন একজনকে খুঁজে পেয়েছে, যার সঙ্গে তার মনের মিল রয়েছে।
কিশোরীটি জানায়, প্রথমে সে ছেলেটিকে বন্ধু হিসেবেই দেখেছিল। তাই তার কোনো যোগাযোগ করার উপায়ও ছিল না।
কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে, ছেলেটির কথা তার মনে গেঁথে যায়। তার অন্যান্য বন্ধুদের মতো, ছেলেটির প্রতি তার সেই ধরনের অনুভূতি ছিল না।
বন্ধুদের পরামর্শ ছিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে। কিন্তু কিশোরীর ভয়, যদি ছেলেটি তাকে অপছন্দ করে?
এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত? মনের অনুভূতি প্রকাশ করা উচিত, নাকি সব ভুলে যাওয়া ভালো? এমন অনেক কিশোর-কিশোরী আছে, যারা তাদের ভালো লাগা বা ভালোবাসার কথা কাউকে বলতে পারে না।
দ্বিধা, ভয় তাদের স্বাভাবিক জীবনকে প্রভাবিত করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবার প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করা উচিত। যদি সেই সুযোগ পাওয়া না যায়, তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
কারণ, ভালোবাসার অনুভূতি যে কোনো বয়সেই আসতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বয়সে মস্তিষ্কের পরিবর্তন হয়। আবেগ এবং ভালো লাগা একরকম কাজ করে, আর যুক্তিবোধ অন্যভাবে।
বন্ধুদের পরামর্শ হয়তো বাস্তবসম্মত, কিন্তু নিজের মনের কথা শোনারও প্রয়োজন রয়েছে।
যদি কোনো ছেলের প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়, তবে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা যেতে পারে। যদি সে সাড়া না দেয়, তবে অন্তত চেষ্টা করার আনন্দটুকু পাওয়া যাবে।
বিশেষজ্ঞরা আরও মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে হয়তো বন্ধুত্বের শুরু হতে পারে।
আর যদি তেমনটা নাও হয়, তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান