প্রেমের সম্পর্কে, বিশেষ করে নতুন সম্পর্কে, অনেক কিছুই আনন্দদায়ক থাকে। তবে সময়ের সাথে সাথে কিছু বিষয় চোখে পড়তে শুরু করে, যা হয়তো আগে সেভাবে নজরে আসেনি।
সম্প্রতি, এমন একটি পরিস্থিতি নিয়ে অনেকে দ্বিধায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে ৩০ বছর বয়সী এক যুবক আছেন, যিনি আট মাস আগে তার সঙ্গীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
শুরুতে সবকিছু বেশ ভালোই ছিল, কিন্তু এখন কিছু বিষয়ে তিনি হতাশ।
তাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্কটা যেন একঘেয়ে হয়ে গেছে। তেমন কোনো উত্তেজনা নেই, আবেগও যেন কম।
তিনি খেয়াল করেছেন, তারা সাধারণত একই ভঙ্গিতে মিলিত হন। যদিও তার সঙ্গীর মতে, এটাই তার “সেরা অভিজ্ঞতা”।
এমনকি, বন্ধুদের সাথে আলাপেও নাকি তিনি এই সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে বেশ খুশি।
সমস্যা হলো, এই যুবক চান সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা আরো একটু আকর্ষণীয় হোক। নতুন কিছু চেষ্টা করার আগ্রহ তার মধ্যে রয়েছে।
কিন্তু তার সঙ্গীর এই বিষয়ে তেমন কোনো উৎসাহ নেই। তিনি নাকি “এভাবেই ভালোবাসেন” এবং “নতুন কিছু করতে চান না”।
শুধু যৌনজীবন নয়, তাদের সাধারণ জীবনযাত্রাতেও একটা বড় পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
যুবকটি বিভিন্ন ডেটিংয়ের আইডিয়া দেন, যেমন – একসঙ্গে সিনেমা দেখা, পার্কে ঘুরতে যাওয়া অথবা রান্নার ক্লাস করা।
তিনি চান, তারা একসঙ্গে কিছু সময় কাটাক, যা তাদের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে। কিন্তু তার সঙ্গী সবসময় চান, তারা যেন বাড়িতে বসে টিভি দেখে সময় কাটান।
এই পরিস্থিতিতে অনেকে হয়তো হতাশ হয়ে পড়েন। মনোবিদদের মতে, সবার রুচি একরকম নাও হতে পারে।
সঙ্গীর অন্য কোনো সমস্যা আছে কিনা, সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।
হয়তো তিনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন, অথবা অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। সেক্ষেত্রে, বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বলা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
যদি সঙ্গীর যৌনজীবনে অনীহা থাকে, তবে ধৈর্য ধরে ধীরে ধীরে পরিবর্তনের চেষ্টা করা যেতে পারে।
এক্ষেত্রে, সঙ্গীর স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। তাড়াহুড়ো করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
সম্পর্কের এই জটিলতাগুলো থেকে উত্তরণের জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আলোচনা খুবই জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে মতের অমিল হতেই পারে। তবে আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত করতে হলে, দু’জনেরই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং একসঙ্গে পথ চলতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian