যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের প্রস্তুতি চলছে। আগামী শনিবার ওয়াশিংটন ডিসি এবং দেশের বিভিন্ন শহরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিক্ষোভে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হতে পারে। খবরটি দিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’।
বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠন এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করছে। তাদের অভিযোগ, ট্রাম্পের নীতিগুলো কর্তৃত্ববাদী এবং এটি মূলত ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করে।
বিক্ষোভকারীরা মনে করেন, ট্রাম্পের এই ধরনের পদক্ষেপ দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার খর্ব করবে। ‘মুভঅন’ (MoveOn) সহ বিভিন্ন শ্রমিক, পরিবেশবাদী ও প্রগতিশীল সংগঠন এই প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেছে।
তাদের মতে, এই প্রতিবাদ হবে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড়।
বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মলে। এখানে ডেমোক্রেট দলের কংগ্রেসম্যান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে।
বিক্ষোভের কারণ হিসেবে আয়োজকরা ট্রাম্প ও তাঁর মিত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের দাবি, ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগী বিলিয়নেয়াররা মিলে সরকারের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছেন এবং এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে।
প্রতিবাদকারীরা মনে করেন, ট্রাম্পের এই নীতিগুলি সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং ভোক্তাদের অধিকারের পরিপন্থী।
প্রতিবাদ কর্মসূচি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর শেয়ার বাজারে দরপতন হয়েছে। যদিও অর্থনৈতিক এই প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ট্রাম্প তাঁর নীতি পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না।
সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩ শতাংশে, যা তাঁর প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘নারী মার্চ’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিল। এই বিক্ষোভটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি বড় প্রতিবাদ হিসেবে ধরা হয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান