ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারির নিরাপত্তা বিষয়ক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি চলছে লন্ডনের একটি আদালতে।
ডিউক অফ সাসেক্স-এর আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় প্রিন্স হ্যারির জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
২০২০ সালের শুরুতে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে আসার পর, ডিউক অফ সাসেক্স-এর জন্য যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় ‘রয়্যাল অ্যান্ড পাবলিক ফিগার্স প্রোটেকশন কমিটি’ (Ravec)।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আপিল করেছেন প্রিন্স হ্যারি।
আদালতে প্রিন্স হ্যারির আইনজীবীর যুক্তি হলো, Ravec তাদের নিয়ম ভেঙেছে।
তারা ‘রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বোর্ড’ (RMB) নামক একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার কাছ থেকে নিরাপত্তা ঝুঁকি বিষয়ক মূল্যায়ন নেয়নি।
এর পরিবর্তে, হ্যারির জন্য তারা একটি বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা তার মতে, ‘অন্যায় এবং নিকৃষ্ট’।
প্রিন্স হ্যারির আইনজীবী শাহেদ ফাতেমা কেসি শুনানিতে বিচারকদের বলেন, “এই মামলার মানবিক দিকটি ভুলে গেলে চলবে না।
আমার সামনে বসা মানুষটির নিরাপত্তা, জীবন—সবকিছুই ঝুঁকির মুখে।
তিনি আরও যোগ করেন, “তাকে একটি বিশেষ প্রক্রিয়া দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, অথচ তিনি জানেন যে এটি সব দিক থেকেই নিম্নমানের।”
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (Home Office) তাদের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে, হ্যারির জন্য তৈরি করা নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি তার ‘বিশেষ পরিস্থিতির’ সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনজীবী স্যার জেমস ইডি কেসি জানান, Ravec-এর এই সিদ্ধান্ত নমনীয় এবং হ্যারির পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই ছিল।
আদালতে শুনানিতে জানানো হয়, হ্যারির মূল অভিযোগ হলো, তিনি চান না যে, তিনি রাজকীয় দায়িত্ব পালন করার সময় যে নিরাপত্তা পেতেন, এখনো সেটির নিশ্চয়তা দেওয়া হোক।
বরং তিনি চান, Ravec যেন অন্য যে কোনো ব্যক্তির মতো তাকেও নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে।
আদালত জানিয়েছে, তারা খুব শীঘ্রই এই আপিলের রায় জানাবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান