প্রিমিয়ার লিগে (Premier League) সবচেয়ে খারাপ দল হওয়ার কলঙ্ক কি স্যান্টোস (Southampton) দলের কপালে জুটতে চলেছে? মাঠের খেলায় ক্রমাগত খারাপ ফল এবং শেষ মুহূর্তে গোল হজম করার ঘটনা তাদের সেই দিকেই নিয়ে যাচ্ছে।
যদি তাই হয়, তবে তাদের এই দুঃস্বপ্নের অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পারেন ডার্বি কাউন্টির (Derby County) প্রাক্তন ম্যানেজার পল জিউয়েল (Paul Jewell)।
২০০৭-০৮ মৌসুমে ডার্বি কাউন্টি ১১ পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের একেবারে নিচে থেকে অবনমিত হয়েছিল। সেই দলের ম্যানেজার হিসেবে জিউয়েলের অভিজ্ঞতা আজও তাকে তাড়িয়ে ফেরে।
তিনি মনে করেন, স্যান্টোসের খেলোয়াড়দের মধ্যেও এখন সেই মানসিকতা তৈরি হয়েছে, যেন তারা মাঠে নামার আগেই হেরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
সম্প্রতি ক্রিস্টাল প্যালেসের (Crystal Palace) বিরুদ্ধে খেলায় অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে স্যান্টোস। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে হওয়া এই ঘটনা যেন তাদের কপালে আরও একটি খারাপ রেকর্ডের ইঙ্গিত দেয়।
যদি টটেনহ্যামের (Tottenham) বিরুদ্ধে তারা হারে এবং উলভস (Wolves) জয়লাভ করে, তাহলে তাদের অবনমন নিশ্চিত হয়ে যাবে।
জিউয়েল বলেন, “ডার্বির অনেক খেলোয়াড় মাঠে নামার আগেই জানত, আজ তারা হারতে চলেছে।” তিনি মনে করেন, স্যান্টোসের খেলোয়াড়দের মধ্যেও এখন তেমনটাই হচ্ছে।
১-০ গোলে এগিয়ে থেকেও তারা যেন সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং মনে করে, “আর পাঁচ মিনিট, এরপরই গোল খাবো।”
স্যান্টোসের বর্তমান ম্যানেজার ইভান জুরিক (Ivan Juric) এই চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি চাই না আমরা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ দল হিসেবে পরিচিত হই।”
ডার্বির সেই খারাপ সময়ের স্মৃতিচারণ করে জিউয়েল বলেন, “আমার ম্যানেজার হিসেবে কর্মজীবন ওই একটি মৌসুমেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।” তিনি আরও জানান, “আমি যখন ডার্বিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম, তখন ডেভিড মোয়েস (David Moyes) আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘তুমি কি ডার্বিতে যাচ্ছ?’
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, যাচ্ছি।’ তিনি আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ‘তাহলে এখনই ফিরে এসো। ওরা আর একটিও ম্যাচ জিততে পারবে না।’ এবং সেটাই সত্যি হয়েছিল।
জিউয়েল মনে করেন, সেই সময়ে তিনি খেলোয়াড়দের প্রতি খুব বেশি সৎ ছিলেন, যা সম্ভবত ভুল ছিল। তিনি বলেন, “আমি হয়তো তাদের দুর্বলতাগুলো নিয়ে অতিরিক্ত কথা বলেছিলাম।”
ডার্বির সেই দুঃসহ স্মৃতি আজও জিউয়েলের মনে গভীর ক্ষত তৈরি করে। তিনি বলেন, “ওই একটি মৌসুম আমার জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে… যা আমাকে আজও কষ্ট দেয়।”
তথ্য সূত্র: The Guardian