গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৫ জন ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সম্প্রতি পাওয়া একটি ভিডিও ফুটেজ এই ঘটনার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দেওয়া বিবৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক তথ্য দিচ্ছে।
ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) দাবি, নিহত এক স্বাস্থ্যকর্মীর মোবাইল ফোন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই ভিডিওটি।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনের গাজার রাফা শহরে রাতের বেলা ফায়ার ইঞ্জিন ও অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার কয়েকটি গাড়ি হেডলাইট ও সতর্কীকরণ আলো জ্বালিয়ে ছুটে চলছে। এরপর একটি গাড়ির পাশে তারা থামে, যা সম্ভবত রাস্তার পাশে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছিল।
এরপরই শোনা যায় গুলির শব্দ, এবং দৃশ্যটি অন্ধকার হয়ে যায়।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের সেনারা কোনো অ্যাম্বুলেন্সের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা চালায়নি। তাদের দাবি, সন্দেহজনক কিছু গাড়িতে থাকা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে তারা গুলি চালিয়েছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শশানি বলেছেন, ওই গাড়িগুলো কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এবং আলো বন্ধ করে চলাচল করছিল।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৩শে মার্চ রাফার তেল আল-সুলতান জেলায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১৫ জন ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন জাতিসংঘের কর্মচারীও।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অফিসের (ওচা) মতে, পিআরসিএস ও স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা এর আগে আহত হওয়া সহকর্মীদের উদ্ধারের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন, যখন তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে একজনের হাত বাঁধা ছিল এবং তাকে আটক করে হত্যা করা হয়েছে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও, ঘটনার পর থেকে রেড ক্রিসেন্টের আরও একজন কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন।
উল্লেখ্য, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পরেই রাফা অঞ্চলে ইসরায়েলি অভিযান শুরু হয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান