ডিট্রয়েট পিস্টনস-এর অভাবনীয় উত্থান, প্লে-অফে জায়গা করে নিলো দলটি।
গত মরসুমে ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ)-এর সবচেয়ে খারাপ দল ছিল ডিট্রয়েট পিস্টনস। মাত্র ১৪টি জয় নিয়ে তারা সবার শেষে ছিল। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে দলটি যেন নিজেদের খোলনলচে বদলে ফেলেছে।
চলতি মৌসুমে তারা প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে, যা বাস্কেটবল বিশ্বে এক বিরল ঘটনা। কোনো দল এত কম ম্যাচ জিতেও পরের বছর এতটা উন্নতি করে প্লে-অফে জায়গা করে নিতে পারেনি।
শুক্রবার টরন্টো র্যাপটরসকে ১১৭-১০৫ পয়েন্টে হারিয়ে প্লে-অফে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করে পিস্টনস। দলের এই অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে রয়েছে খেলোয়াড়দের কঠোর পরিশ্রম।
সেন্টার জালেন ডুরেন ম্যাচ শেষে বলেন, “সত্যি বলতে, এখন আবেগ প্রকাশ করা কঠিন, তবে এটা আমাদের সবার কঠোর পরিশ্রমের ফল।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা এখনো থামিনি। আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে।”
গত বছর পিস্টনস যেন জয়ের ধারাই ভুলে গিয়েছিল। তারা টানা ২৮টি ম্যাচ হেরেছিল, যা এনবিএ ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘতম পরাজয়ের রেকর্ড।
এমনকি আমেরিকান পেশাদার খেলার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ড থেকে তারা ছিল মাত্র এক ম্যাচ দূরে। এই খারাপ ফর্ম কাটিয়ে ওঠা সহজ ছিল না।
ডিসেম্বর ২০২৩-এ র্যাপটরসের বিপক্ষেই জয় দিয়ে সেই খরা কাটিয়েছিল পিস্টনস। এরপর দলটি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে এবং চলতি মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করে।
তারা এখন পর্যন্ত ৪৩টি ম্যাচ জিতেছে। ২০১৫-১৬ মৌসুমের পর এই প্রথম তারা জয়ী হওয়ার রেকর্ড গড়ল এবং ২০১৮-১৯ মৌসুমের পর প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল। বর্তমানে তারা ইস্টার্ন কনফারেন্সে ৫ নম্বর স্থানে রয়েছে।
পিস্টনসের কোচ জেবি বেকারস্টাফ দলের এই সাফল্যে আনন্দিত। তিনি বলেন, “এটা আমাদের জন্য বিশাল একটা বিষয়। সাধারণত আমরা এত কিছু নিয়ে ভাবি না, তবে এই মুহূর্তে দল হিসেবে আমরা কোথায় এসেছি, সেটা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। এই দল যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে, তা সত্যিই অসাধারণ।”
র্যাপটরসের বিপক্ষে জালেন ডুরেন ২১ পয়েন্ট এবং ১৮টি রিবাউন্ড নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। টিম হার্ডওয়ে জুনিয়র ২৩ পয়েন্ট যোগ করেন।
অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ক্যাড কানিনহ্যামের অনুপস্থিতিতেও দলের আক্রমণভাগ যে শক্তিশালী, তা তারা প্রমাণ করেছেন।
অন্যদিকে, এই মৌসুমে বাস্কেটবলে নতুন রেকর্ড গড়েছে বোস্টন সেল্টিক্স। তারা এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ৩-পয়েন্ট স্কোর করার রেকর্ড গড়েছে।
পেটন প্রিচার্ডের করা ১,৩৬৪টি ৩-পয়েন্ট শটের মাধ্যমে তারা গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্সের আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন