গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে উত্তেজনা।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে, যার ফলস্বরূপ মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, সাম্প্রতিক হামলায় অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস এবং উত্তরাঞ্চলে বেইত হানুন-এ চালানো বিমান হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজার দক্ষিণে একটি ‘নিরাপত্তা করিডোর’ তৈরি করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোরাগ করিডোর’। এই করিডোর গাজার রাফা শহরকে অবরুদ্ধ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই করিডোর তৈরির ঘোষণা করেন এবং এর মাধ্যমে রাফা শহরকে গাজার অন্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ইঙ্গিত দেন।
এদিকে, হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইসরায়েলের দুইজন বন্দী জীবিত রয়েছে। ভিডিওতে তারা একটি ইসরায়েলি হামলায় কিভাবে তারা বেঁচে গিয়েছেন, সেই বিষয়ে কথা বলছেন। বন্দী পরিবারগুলো মিডিয়াকে ভিডিওটি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেছে।
গত ৭ই অক্টোবর হামাসের চালানো হামলায় অন্তত ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল। এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু হয়, যা এখনো চলছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে গাজায় মৃতের সংখ্যা ৫০,৬৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (UNRWA)-এর প্রধান ফিলিপ্পে লাজারিনি বলেছেন, শিশুদের হত্যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গাজায় যুদ্ধবিরতি স্থাপনের চেষ্টা চলছে। এই লক্ষ্যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর সঙ্গে একটি ত্রিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠক করার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী সোমবার কায়রোতে এই শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট মানবিক সহায়তা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এবং যুদ্ধবিরতির পক্ষে সমর্থন জানাতে মিশরের এল-আরিশ শহরেও যাবেন। এল-আরিশ শহরটি গাজার উদ্দেশ্যে পাঠানো আন্তর্জাতিক ত্রাণ সামগ্রীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট।
তথ্য সূত্র: