টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জেরে চারজন হুইসেলব্লোয়ারকে (যারা দুর্নীতির খবর ফাঁস করেন) ৬.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সম্প্রতি ট্রাভিস কাউন্টির বিচারক ক্যাথরিন মৌজি এই রায় দেন।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, এই চারজন কর্মী অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটনকে নিয়ে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (এফবিআই) অভিযোগ জানানোর পরই তাদের বরখাস্ত করা হয়েছিল। বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেছেন, প্রমাণ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কেন প্যাক্সটনের অফিসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক।
অভিযোগ ছিল, অ্যাটর্নি জেনারেল তার অফিসের ক্ষমতা ব্যবহার করে অস্টিনের এক রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেছেন। ওই ডেভেলপারের সঙ্গে প্যাক্সটনের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তবে কেন প্যাক্সটন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আদালতের রায়ে আরও বলা হয়েছে, এই চার কর্মচারী ‘সৎ উদ্দেশ্যে’ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগগুলো করেছিলেন। প্যাক্সটনের অফিস এই বিষয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি।
মামলার শুনানিতে কর্মীদের আইনজীবী টম নেসবিট এবং টি জে টার্নার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “এটা খুবই উদ্বেগের বিষয় যে, টেক্সাসের প্রধান আইন কর্মকর্তা, কেন প্যাক্সটন, আইন ভাঙার কথা স্বীকার করেছেন। এই মামলায় ঠিক সেটাই ঘটেছে।”
রায় ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে রিপাবলিকান দলের সদস্য কেন প্যাক্সটন এই রায়কে ‘হাস্যকর’ এবং ‘তথ্য ও আইনের পরিপন্থী’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করারও ঘোষণা দিয়েছেন।
২০২০ সালে, আটজন কর্মচারী কেন প্যাক্সটনের অফিসের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ এনে এফবিআইতে খবর দেন। এর জেরে এই তদন্ত শুরু হয়। ২০২৩ সালে, প্যাক্সটন হুইসেলব্লোয়ারদের সঙ্গে ৩.৩ মিলিয়ন ডলারের একটি মীমাংসা করেন এবং তাদের কাছে ক্ষমাও চান, যদিও তিনি কোনো ভুল স্বীকার করেননি। পরে টেক্সাস হাউজ এই মীমাংসার জন্য তহবিল দিতে রাজি হয়নি। এমনকি তারা নিজেদের মতো করে তদন্ত করে প্যাক্সটনকে অভিশংসিত করে। যদিও সিনেটে তিনি মুক্তি পান।
বর্তমানে, কেন প্যাক্সটন মার্কিন সিনেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
তথ্য সূত্র: সিএনএন