থাইল্যান্ডে একজন সাধারণ মানুষের মতো ঘুরে বেড়ানো, সেখানকার স্থানীয় খাবার এবং পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় একটি বিশেষ অভিবাদন সম্পর্কে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’ খ্যাত অভিনেতা তাইমে থাপথিমথং। এই অভিনেতা থাইল্যান্ডকে নিজের দেশ হিসেবে ভালোবাসেন এবং এই সিরিজে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত।
লন্ডনে জন্ম ও বেড়ে ওঠা তাইমে থাপথিমথং ২২ বছর বয়সে থাইল্যান্ডে আসেন। তিনি জানান, ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’-এর শুটিংয়ের সময় ফোর সিজনস কোহ সামুই-এর মতো বিলাসবহুল হোটেলে থাকার অভিজ্ঞতা তার কাছে নতুন ছিল।
অভিনেতা হিসেবে পরিচিত হওয়ার আগে, তাইমে একসময় বডিগার্ডের কাজ করতেন। থাইল্যান্ডে আসার পর তিনি এখানকার সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার সঙ্গে পরিচিত হন। তিনি এখানকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মিশেছেন। একবার তিনি ফুকেটের দক্ষিণে একটি জেলে পরিবারে দুই সপ্তাহ ছিলেন, যেখানে রাতের বেলা দিক নির্ণয়ের জন্য তারা নক্ষত্রের সাহায্য নিত।
থাইল্যান্ড ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে তাইমে জানান, এখানকার স্থানীয় খাবার তার খুব প্রিয়। তিনি বিশেষ করে চিয়াং মাইয়ের ‘ খাও সই’ নামক একটি খাবার, যা চিকেন, নুডলস এবং নারকেল ক্রিমের মিশ্রণে তৈরি, তার পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। এছাড়াও গ্রিল করা চিকেন, স্টিকি রাইস ও পেঁপেঁ দিয়ে তৈরি সালাদও তার খুব প্রিয়।
থাইল্যান্ডে গেলে পর্যটকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এখানকার ‘ওয়াই’ (Wai) নামক অভিবাদন। এটি হলো শ্রদ্ধার প্রতীক, যা দু’হাত একত্র করে নমস্কার জানানোর মতো। তাইমে বলেন: “থাইল্যান্ডে কারো সঙ্গে ভালোভাবে মিশতে হলে এই অভিবাদন জানা খুব দরকার।”
অভিনেতা হিসেবে নিজের চরিত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাইমে জানান, তিনি এই সিরিজে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত। তার মতে, এই সিরিজটি থাইল্যান্ডকে বিশ্বজুড়ে আরও পরিচিত করে তুলবে, যেমনটা “হাওয়াই” এবং “সিসিলি”-র ক্ষেত্রে হয়েছে।
বর্তমানে ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’ সিরিজের তৃতীয় সিজনে তাইমে থাপথিমথং-কে হোটেল নিরাপত্তা কর্মী গাইটোক চরিত্রে দেখা যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল + লেজার