যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র তাপপ্রবাহের ঝুঁকি বাড়ছে: বাংলাদেশের জন্য প্রাসঙ্গিকতা
গ্রীষ্মকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তীব্র গরম জনস্বাস্থ্যর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সময়টাতে জরুরি বিভাগের রোগী বৃদ্ধি পায় এবং অতিরিক্ত গরমে বহু মানুষের মৃত্যুও হয়।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (National Weather Service) এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (Centers for Disease Control and Prevention) সেখানকার নাগরিকদের জন্য তাপপ্রবাহের ঝুঁকির পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর প্রতিদিন তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেয়, যা জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই পূর্বাভাসে তাপমাত্রার তীব্রতা, সম্ভাব্য স্থায়িত্ব এবং অতীতের প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে একটি বিশ্লেষণ করা হয়।
এর মাধ্যমে জানা যায় কোন অঞ্চলে কতজন মানুষ ঝুঁকিতে আছে।
গত বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালের গ্রীষ্মকালে, প্রায় ৬ কোটির বেশি মার্কিন নাগরিক এমন পরিস্থিতিতে ছিলেন যখন তাদের জন্য উচ্চ তাপমাত্রার সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে তাপপ্রবাহগুলো আরও বেশি সাধারণ, তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
রাতের বেলা তাপমাত্রা কমার বদলে বরং তা বাড়ছে, যা মানুষের জন্য স্বস্তি নিয়ে আসে না।
যুক্তরাষ্ট্রে তাপমাত্রার এই ক্রমবর্ধমান ধারা অব্যাহত থাকলে, অতীতের অনেক রেকর্ড ভেঙে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য আসন্ন কয়েক সপ্তাহের গড় তাপমাত্রার পূর্বাভাসও দিয়ে থাকে।
এই পূর্বাভাসগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা কম তাপমাত্রা থাকার সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। গরম অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিস্থিতি থেকে আমরা বাংলাদেশের জন্য কিছু বিষয় বিবেচনা করতে পারি। যদিও দুই দেশের আবহাওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে, তবুও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের দেশেও গরম বাড়ছে।
গরমের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে। তাই, যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিস্থিতি আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করতে পারে।
তীব্র গরম থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে গরমকালে পর্যাপ্ত পানি পান করা, ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।
তথ্য সূত্র: CNN