দীর্ঘ বিরতির পর, জনপ্রিয় শিল্পী জাস্টিন ভেরনন-এর ব্যান্ড, বন আইভার-এর নতুন অ্যালবাম ‘সাবেল, ফেবেল’ মুক্তি পেয়েছে। সঙ্গীতের এই জগৎ-এ ফিরে আসাটা যেন অনেকটা পরিবর্তনের আভাস নিয়ে এসেছে, যেখানে ভালোবাসার গভীরতা আর পরিবর্তনের ভয়—দুটোই এক সুরে বাঁধা পড়েছে।
অ্যালবামটি যেন অনেকটা শীতের রাতের মতো—ঠান্ডা, তবে ভালোবাসার উষ্ণতায় মোড়া।
‘সাবেল, ফেবেল’ অ্যালবামটি আসলে ২০১৬ সালের ‘২২, এ মিলিয়ন’ -এর পর বন আইভারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাজ। এর আগে, গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘সাবেল’ শীর্ষক তিনটি গানের একটি ইপি প্রকাশিত হয়েছিল।
এই অ্যালবামের গানগুলোতে ভেরননের কণ্ঠ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা এবং অনিশ্চয়তার অনুভূতি প্রকাশ করে। গানের কথায়, তিনি যেন নতুন কিছু খুঁজে ফিরছেন।
অ্যালবামের পরবর্তী অংশে, বিশেষ করে ‘ফেবেল’ অংশে, প্রেম আর ভালোবাসার গভীরতা খুঁজে পাওয়া যায়। গানের প্রতিটি স্তরে, যেন ভালোবাসার এক নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হয়।
‘ডে ওয়ান’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ওয়াই ওক-এর জেন ওয়াজনার এবং অল্ট-আরএন্ডবি শিল্পী ডিজন। গানের কথায়-“আমি তোমাকে ছাড়া কে, তা জানি না”-ভালোবাসার গভীরতা যেন আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
বন আইভারের সঙ্গীত সবসময়ই পরীক্ষামূলক। এই অ্যালবামেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
কখনও পুরনো দিনের লোকসংগীতের সুর, আবার কখনও ইলেক্ট্রনিক সঙ্গীতের জটিলতা—সবকিছু মিলেমিশে এক নতুন জগৎ তৈরি হয়েছে। যন্ত্রানুষঙ্গে সিন্থেসাইজার এবং নানা ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা গানগুলোকে কিছুটা “রোবোটিক” অনুভূতি দেয়।
তবে মাল্টি-ইনস্টুমেন্টালিস্ট গ্রেগ লিজের পেডাল স্টিল-এর ব্যবহার গানের মাধুর্য বাড়িয়েছে।
পুরোনো দিনের গানের ছোঁয়াও পাওয়া যায় এই অ্যালবামে। ‘এভরিথিং ইজ পিসফুল লাভ’ গানটিতে ভেরননের কণ্ঠ শ্রোতাদের মন জয় করে নেয়।
এছাড়া, ‘আই’ল বি দেয়ার’-এর মতো কিছু গানে সত্তরের দশকের গানের সুরের আভাস পাওয়া যায়।
এই অ্যালবামে আরও কয়েকজন শিল্পী কাজ করেছেন। হেইম ব্যান্ডের ড্যানিয়েল হেইমের সাথে ‘ইফ অনলি আই কুড ওয়েট’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ভেরনন।
এই গানটি ভালোবাসার গভীরতা নিয়ে তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, ‘ওয়াক হোম’ গানটি কিছুটা ভিন্ন, যেখানে কণ্ঠের পরিবর্তন গানটিকে অন্যরকম করেছে।
‘ফ্রম’ গানটিতে নাচের একটি সুর রয়েছে, যা গানটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
শেষ গান ‘দেয়ার’স এ রিদম’-এ একটি উজ্জ্বল সুরের ব্যবহার করা হয়েছে। তবে, এই অ্যালবামের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সম্ভবত এর ভিন্ন ধরনের শব্দ এবং সুরের মিশ্রণ।
বন আইভারের এই নতুন কাজটি একদিকে যেমন পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, তেমনই ভালোবাসার গভীরতাকেও তুলে ধরে। যারা নতুন কিছু শুনতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই অ্যালবামটি নিঃসন্দেহে উপভোগ্য হবে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস