চকলেট, যা সারা বিশ্বে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে পরিচিত, বিভিন্ন সংস্কৃতিতে আনন্দ ও উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঈদ থেকে শুরু করে জন্মদিন কিংবা যেকোনো বিশেষ মুহূর্ত—মিষ্টিমুখ করতে চকলেট যেন এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ।
আন্তর্জাতিক বাজারে চকলেটের বিভিন্নতা ও দামের ভিন্নতা সবসময়ই ভোক্তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে আসা কিছু চকলেটের খবর পাওয়া গেছে, যেখানে দামের তারতম্য বেশ লক্ষণীয়। যুক্তরাজ্যের বাজারে যেমন, ‘টেরিজ’ (Terry’s) -এর কমলা ক্রিমযুক্ত ডিম্বাকৃতির চকলেট পাওয়া যাচ্ছে, যার দাম প্রায় 70 পেনি (বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক ৯৮ টাকা)।
অন্যদিকে, টেডকোর (Tesco) -এর মিন্ট ফ্লেভারের ইস্টার এগ পাওয়া যাচ্ছে ৬ পাউন্ডে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৪০ টাকা)।
অন্যদিকে, যারা একটু দামি এবং অভিজাত স্বাদের চকলেটের প্রতি আগ্রহী, তাদের জন্য রয়েছে ‘পিয়েরে মারকোলিনি’র (Pierre Marcolini) বিশেষ চকলেট বক্স। এই বক্সে ১৮টি আকর্ষণীয় চকলেট থাকে, যার দাম প্রায় ৪০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৬০০ টাকা)।
এই ধরনের চকলেট সাধারণত বিশেষ অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্য পরিচিত।
বাংলাদেশেও চকলেটের চাহিদা বাড়ছে, বিশেষ করে বিভিন্ন উৎসবে ও অনুষ্ঠানে।
বর্তমানে দেশের বাজারে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের চকলেট পাওয়া যায়, যেগুলোর দাম ভিন্ন ভিন্ন।
তবে, আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় এখানকার দাম কিছুটা বেশি হতে দেখা যায়। ভবিষ্যতে হয়তো, উন্নত প্রযুক্তি ও বাজারের প্রসারের ফলে, বাংলাদেশেও আরও বেশি সংখ্যক এবং বিভিন্ন দামের চকলেট পাওয়া যাবে।
চকলেটের এই বিশাল ভাণ্ডার, স্বাদ ও দামের ভিন্নতা, ক্রেতাদের জন্য এক আকর্ষণীয় জগৎ তৈরি করে।
(বি.দ্র. উল্লেখিত দামগুলো বাজারের বিনিময় হারের ওপর ভিত্তি করে আনুমানিক।)
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম থেকে সংগৃহীত।